Golden Temple: শাস্তির দ্বিতীয় দিনেই অকালি নেতার ওপর চলল গুলি, চাঞ্চল্য স্বর্ণমন্দিরে

Published On:

বিক্রম ব্যানার্জী: ধর্মীয় অপরাধের শাস্তি মেনে স্বর্ণমন্দিরে(Golden Temple) সেবাদার হিসেবে কাজ করছিলেন শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল। মঙ্গলবার সকালে আচমকা তাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। শাস্তি পালনের দ্বিতীয় দিনেই অকালি নেতাকে খুনের চেষ্টায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মন্দির চত্বরে। প্রশ্ন উঠছে সুখবীরের নিরাপত্তা নিয়েও। পুলিশ আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়, সুখবীর সিংকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া সত্ত্বেও কীভাবে তার ওপর হামলা হলো, কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত গোটা বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অকাল তখতের পক্ষ থেকে সুখবীর সিং বাদলকে নাকি অপরাধের শাস্তি হিসেবে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল। প্রথমত তাকে সাজা অনুযায়ী অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে সেবাদার হিসেবে কাজ করতে বলা হয়। মন্দিরের বাসন মেজে তা ধুয়ে পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে জুতো পরিষ্কার সবকিছুই করতে হত সুখবীরকে। সেই সাথে নিয়মিত কীর্তন শোনারও নির্দেশ ছিল তার ওপর। জানা যায়, বাবার উত্তরসূরি হিসেবে ফখর-এ-কোয়াম উপাধি পেয়েছিলেন শিরোমণি অকালি নেতা। শাস্তি অনুযায়ী তার কাছ থেকে সেই উপাধিও কেড়ে নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ধর্মীয় অপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সুখবীর সিং বাদলকে। এরপরই অপরাধের ভিত্তিতে অকালি নেতাকে সাজা শোনায় অকাল তখত। সুখবীরের শাস্তির কারণ হিসেবে জানানো হয়, তিনি 2007 থেকে 2017 সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় শিরোমণি অকালি দলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক ভুল কাজ করেছেন।

আর সেই কারণেই তাকে কঠিন শাস্তির প্রহর গুনতে হবে। বলা বাহুল্য, শিরোমণি অকালি দলের শাসনকালে সুখবীর সিং বাদল ছাড়াও দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রিসভার 5 জন সদস্যকে তাদের ধর্মীয় অপরাধের ভিত্তিতে সাজা শোনানো হয়। সূত্রের খবর, শাস্তি হিসেবে তাদের প্রতিদিন অন্তত এক ঘন্টা করে মন্দিরের শৌচালয় পরিষ্কার করা এবং শুদ্ধ হয়ে রান্নাঘরের বাসন মাজার কাজ করতে হতো।

আরও পড়ুন: সিরিয়ার আরও 4 শহরে শত্রুপক্ষের থাবা, কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি