এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করছেন এক ব্যক্তি। পাশেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে রয়েছেন এক তরুণ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওই ব্যক্তির রোষের শিকার ওই তরুণও। গোটা ঘটনাটি ঘটছে দিনের আলোয়, ঘটনাস্থলে লোকে লোকারণ্য। কিন্তু সবার মুখে কুলুপ, কেউ কোন প্রতিবাদ করছেন না।
রবিবার দুপুরে এমনই একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সভাপতি মহম্মদ সেলিম। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ভিডিও পোস্ট করে সেলিম লেখেন, ‘ সালিশি সভা নয়। অপরাধের শাস্তি দিচ্ছে তৃণমূলের পোষা গুণ্ডা। এর নাম তাজমূল, ওরফে জেসিবি।’ কিছুক্ষণের মধ্যে একই ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘ প্রত্যেক গ্রামেই সন্দেশখালি রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের কুৎসিত মুখ।’ মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি ( ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি)। প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের ভূমিকা।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। এই ঘোষণার ঘন্টাখানেকের মধ্যে গ্রেফতার করা হল তাজমূলকে। জানা গেছে এলাকার বিধায়ক হামিদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সে। ইতিমধ্যে তাকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ বাইক চোর সন্দেহে স্কুল পড়ুয়া কিশোরকে পুলিশের ‘থার্ড ডিগ্রি’,ক্ষোভে এলাকায় অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল
জানা গেছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তাজেমূল বেধড়ক মারধর করে ওই তরুণ – তরুণীকে। আক্রান্ত দুজনই লক্ষীপুর গ্রামের দীঘলগাঁও এলাকার বাসিন্দা। কয়েকদিন আগেই গ্রামে অভিযোগ ওঠে ওই তরুণী, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তরুণের সঙ্গে। সেই ঘটনার জেরেই গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। সেখানেই শাস্তি দেওয়ার নামে নারকীয় অত্যাচার চলে ওই তরুণ – তরুণীর উপর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় একপ্রকার তাজেমূলের শাসন চলে। সেই কারণেই সংবাদমাধ্যম অথবা পুলিশ – প্রশাসনের কাছে এই ঘটনা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।