রাজীব ঘোষ: ট্রেনের ভিতরে বসে বাইরের অপরূপ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যেতে পারেন আপনার গন্তব্যে। ভারতীয় রেলওয়ের (Indian Railways) যে সমস্ত ডিভিশনে এই ধরনের জায়গা রয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় এক বিশেষ ধরনের কোচ লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের রেল লাইনের দুই ধারে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে চলে যেতে পারবেন আপনার নির্দিষ্ট গন্তব্যের স্টেশনে। এবার থেকে এই নতুন পরিষেবা যাত্রীদের জন্য নিয়ে আসছে ভারতীয় রেলওয়ে। আর এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ট্রেনে লাগাতে হবে ভিস্টাডোম কোচ (Vistadome Coach) তার ফলে ট্রেন সফর হবে পর্যটকদের কাছে আরামদায়ক এবং মনোরম।
আরও পড়ুনঃ পরীক্ষা ছাড়াই টাটা স্টীল ফ্যাক্টরিতে কয়েক হাজার শূন্যপদে নিয়োগ শুরু,কীভাবে আবেদন করবেন, দেখুন
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের রেল লাইনের দুই ধারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভিস্টাডোম কোচের মাধ্যমে দেখতে দেখতে সফর করার জন্য যাত্রীদের চাহিদা ছিল। এবার রেল কর্তৃপক্ষ সেই চাহিদা পূরণ করেছে। হাওড়া- এনজেপি শতাব্দী এক্সপ্রেসে লাগানো হয়েছে ভিস্টাডোম কোচ। পূর্ব রেলের তরফে হাওড়া- এনজেপি শতাব্দী এক্সপ্রেসের একেবারে শেষ অংশে এই Vistadome Coach জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই কোচে বহু সুবিধা থাকায় আগের থেকে ট্রেন সফর আরো আনন্দদায়ক হবে বলেই মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় রেলের তরফে ট্রেনযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ট্রেনগুলিতে ভিস্টাডোম কোচ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রুটে এই কোচ লাগানো হচ্ছে। এবার Howrah-NJP Shatabdi Express-এ এই ভিস্টাডোম কোচ লাগানোর কথা জানালেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।
তিনি বলেন, ভিস্টাডোম কোচের ভাড়া একটু বেশি। সাধারণ ট্রেনের চেয়ার কারের ভাড়া ১৪০০ টাকা। সেখানে ভিস্টাডোম কোচের ভাড়া ২৪৩০ টাকা। এক্ষেত্রে অন্য কোচের তুলনায় যাত্রীদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা অনেক উন্নতমানের। এই প্রসঙ্গে ইস্টার্ন রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, ভিস্টাডোম কোচে বসার আসন সামনে- পিছনে করার সঙ্গে ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরানো যায়। ট্রেনের জানালার শাটার তুললেই ঝকঝকে কাঁচ। এর ফলে পর্যটকরা সহজেই বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ভিস্টাডোম কোচের ছাদেও কাঁচ থাকবে। যাতে বাইরের আলো সহজেই কামরায় ঢুকতে পারে। প্রতিটি কোচেই ওয়াইফাই এবং জিপিএস সিস্টেম রয়েছে। অন্ধ যাত্রীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে আসন সংখ্যা দেওয়া আছে। যে রুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে, সেখানেই ভিস্টাডোম কোচ লাগানো হয়েছে।