তৃণমূলে (TMC) তীব্র হচ্ছে বিদ্রোহ? আরজি কর কান্ড নিয়ে অনেকেই উল্টোসুরে কথা বলছেন। নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তার বক্তব্য স্পষ্ট, ‘নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আরও কঠিন আইন আনুক কেন্দ্র।’ তবে এই প্রথম নয়, আর জি করে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় আগেই সরব হয়েছিলেন সুখেন্দু। তিনি বলেছিলেন, “আমি মেয়ের বাবা, একজন দাদু হিসেবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছি।”
নারী-সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রের যে কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন সেকথায় চিঠিতে লিখেছেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদ। অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। দেশের বেশকিছু রাজ্যে নারী সুরক্ষা বড়সড় প্রশ্নের মুখে। ফলে শীতকালীন অধিবেশনে এই নিয়ে সংসদে বিল আনুক কেন্দ্রীয় সরকার। সুখেন্দু আরও বলেছেন, বাসে ট্রেনে কর্মক্ষেত্রে মহিলারা কোথাও সুরক্ষিত নন। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। দরকারে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে ধর্ষণের মামলাগুলির বিচার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অন্যতম সেরা সরকারি হাসপাতাল আর জি করে যেভাবে তরুণী চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে তাতে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র আন্দোলন। এই প্রসঙ্গে গত ১৪ই আগস্ট রাজ্যে পালিত হয় ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সুখেন্দু। শাসক দলের মধ্যে থেকেই আর জি করের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন শান্তনু সেনও। তাকে মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়েও দিয়েছে তৃণমূল। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আর জি কর প্রসঙ্গে দলের নেতাদের মন্তব্যে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। তবে তাতে যে চিড়ে ভেজেনি সুখেন্দুর চিঠির মধ্যে দিয়ে তা স্পষ্ট। এখন বিরোধীদের প্রশ্ন আর জি করের ঘটনায় কি শাসক দলের অন্দরেই বিদ্রোহ তীব্র হয়ে উঠেছে?