বিক্রম ব্যানার্জী: এ যেন নাটকের রঙ্গমঞ্চ! পড়ুয়াদের ট্যাব কেলেঙ্কারির পর এবার স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ(SVMCM) নিয়েও কাঠগড়ায় রাজ্য। অভিযোগ যোগ্য পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা ঢুকছে দিনমজুর, কৃষক এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে। সূত্রের খবর, অন্তত 150 জন পড়ুয়ার হকের টাকা চলে গেছে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এমন অকল্পনীয় ঘটনার শিকার হয়েছেন মালদার রাতুয়ার বাটনা জেএম সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
মালদার মাদ্রাসাটির বেশিরভাগ পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের প্রাপ্য অর্থ এতদিন নিয়ম মেনে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। তবে এবারে তাদের স্কলারশিপের টাকা অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়নি। তাদের পরিবর্তে যারা টাকা পেয়েছেন তারা কেউই ওই মাদ্রাসার সাথে সম্পর্কিত নন। পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হলে উঠে আসে নয়া তথ্য।
মালদার ওই নির্দিষ্ট এলাকার স্কলারশিপ প্রাপকদের তালিকা হাতে এলে দেখা যায়, যাদের ব্যাঙ্কে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা পৌঁছেছে তারা কেউই বর্তমানে পড়াশোনার সাথে যুক্ত নন। কারও বয়স 50 ছাড়িয়েছে, কেউ আবার 80-র দোড়গোড়ায় পৌঁছে রঙিন মুহূর্তের স্বপ্ন বুনছেন। পড়ুয়াদের স্কলারশিপ কেলেঙ্কারির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে মাদ্রাসার প্রাক্তন টিচার ইনচার্জ আনোয়ার হক এবং কম্পিউটার শিক্ষক ইনজামামুল হকের।
তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ শানিয়েছেনে পড়ুয়ার। শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগেরই অভিযোগ, 2 থেকে 3 হাজার টাকা কমিশন দিয়ে স্কলারশিপের মোট অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা। পড়ুয়াদের একটা অংশ মনে করছেন, স্কলারশিপ দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা পকেটে পুড়বেন মাদ্রাসার ওই দুই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ শুক্রবার মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে আগামীকাল তদন্তের জন্য প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন সরকারি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের সঙ্গী হতে চান না মহম্মদ শামি! নেপথ্যে কোন কারণ?