শেষ লোকসভা ভোট। আগামী ৪ জুন জানা যাবে দেশের মসনদে কে আসতে চলেছেন। তবে ভোট শেষ হলেও ভোট – পরবর্তী সন্ত্রাসের বিরাম নেই। অভিযোগ, খাস কলকাতায় মারধর করা হয়েছে বিরোধী দলের এজেন্টদের। যাদবপুরে ঘরছাড়া বহু সিপিএম সমর্থক। ভোটের পরে হিংসার বলি হয়েছেন নদীয়ার কালীগঞ্জের বিজেপি সমর্থক। গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাকে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এই অবস্থায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
গত রবিবার নদীয়ার কালীগঞ্জের এক বিজেপি সমর্থককে খুন করে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় তাকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাকে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন – ‘ পরিকল্পনামাফিকভাবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানোর চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবেই যুক্ত নয়। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনায় যুক্তদের কড়া শাস্তি হবে।’ তৃণমূলের তরফ থেকে দায় অস্বীকার করা হলেও নিহতের ভাইয়ের দাবি তার দাদা বিজেপি সমর্থক হওয়ায় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাকে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছে। নদীয়ার কালীগঞ্জে দলীয় সমর্থক খুনের খবর পাওয়ার পরেই দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি দেন সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত বলেন, ‘তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, তাদের শেষ সময় আসন্ন। গুন্ডা-বদমায়েশদের বলে দিতে চাই, বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। আর বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর যদি বিজেপিরও কোনও ঝান্ডাধারীর হাত ধরে দলে আসেন, বাঁচবেন না।উত্তরপ্রদেশ-ট্রিটমেন্ট হবে, এনকাউন্টার করা হবে।’
সুকান্তর এই মন্তব্য রাজ্য – রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে। আবার বিজেপি নেতা – কর্মীরা বলছেন দুষ্কৃতীদের জন্য উপযুক্ত দাওয়াই তৈরি না হলে রাজ্যে ভোট – পরবর্তী হিংসা বন্ধ হবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোট পরবর্তী হিংসার ফলে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ রাজ্যে ভোট – পরবর্তী হিংসা যেন নিত্যসত্যে পরিণত হয়েছে।’