Nabanna Abhijan: ছাত্র সমাজের ব্যানারে ডাকা নবান্ন অভিযান(Nabanna Abhijan) ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। কঠোর পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নবান্নকে ঘিরে বহু ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। যাতে কোনোভাবেই কোনো আইন শৃংখলার অবনতির মত পরিস্থিতি না হয়। পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স, স্ট্রাকো সহ বিরাট বাহিনী রাজ্যের প্রধান সচিবালয় নবান্নের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
“পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের” ব্যানারে এই নবান্ন অভিযান(Nabanna Abhijan) ডাকা হলেও সেখানে রাজনীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করতে ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন। আর তার আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) এই দাবি করেছেন, ‘নবান্ন অভিযানের আগের রাতেই বেশ কিছু ছাত্র কর্মী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনোরকম যোগাযোগ হচ্ছে না’।
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। শুভেন্দুর কথায়, ‘হাওড়া স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবকদের খাবার বিতরণের জন্য যে সমস্ত ছাত্ররা দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে চারজন মধ্যরাতের পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন গৌতম সেনাপতি, শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পন্ডিত এবং প্রীতম সরকার। এই চারজনকে মধ্যরাতের পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তাদের মোবাইলে ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, এমনটাই দাবি করেছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুনঃ মকরের সফলতা,মিথুন রাশির পদোন্নতি! জানুন আজকের রাশিফল
পাশাপাশি বিজেপি নেতা এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মনে করা হচ্ছে এই চারজন ছাত্রকে মমতার পুলিশ গ্রেপ্তার বা আটক করেছে। যদি এদের কিছু হয়ে যায় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে মমতার সরকার’। নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাজ্যের প্রধান সচিবালয়ের নিরাপত্তায় ইতিমধ্যেই রাস্তায় থাকছে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ। রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন এলিট ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। তবে এই নবান্ন অভিযানে যেমন একদিকে DYFI এবং SFI এর মতো বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা অংশগ্রহণ করছে না। তেমনি পাশাপাশি যে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন, তারাও এই নবান্ন অভিযানে অংশ নিচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন।