আরজি কর (RG Kar Hospital) কান্ডে দল আর আড়াল করবে না সন্দীপ ঘোষকে(Sandip Ghosh)। অন্যায়ের সাজা তো পেতেই হবে। মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও অভিযোগের মাঝে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। নিজে থেকেই এক তদন্ত শুরু করে দিল ঘোষের বিরুদ্ধে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইঞ্জিত দিল, আরজি কর হাসপাতালে(RG Kar hospital) আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করতে চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী সিট গঠন করা হয়েছে। 2021 সালের জানুয়ারি থেকে, অর্থাৎ যখন সন্দীপ ঘোষই ছিলেন সর্বেসর্বা, সেই সময়ের সমস্ত হিসাব মেটানো হবে।
আরও পড়ুনঃআরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে মেদিনীপুরে মিছিল জুন মালিয়ার
কলকাতার আরজি কর(RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর মামলার তদন্ত চলছে। সিবিআইয়ের হাত ধরে, যত দিন যাচ্ছে মামলার রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে থরে থরে। একজন অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পর এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তবে যে নির্মমতার সঙ্গে ডাক্তারকে হত্যা করা হয়েছে তা বিবেচনা করে বলা হচ্ছে এটি কোনও একজন করেনি। সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে কলেজের অধ্যক্ষ, ইন্টার্ন, চিকিৎসকসহ অন্যদের সম্পৃক্ততা নিয়ে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. সন্দীপ ঘোষকেও লাগাতার জেরা করা হচ্ছে।
উল্লেখ, আরজি করে(RG Kar) শিক্ষার্থী চিকিৎসককে হত্যার পর পরই ইস্তফা দেন সন্দীপ ঘোষ। চার ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদ দেওয়া হয়। তখনই কথা ওঠে যে সন্দীপ ঘোষকে কি প্রশ্রয় দিচ্ছে নবান্ন! দলের মানুষ এই অভিযুক্তকে কেন লুকিয়ে রাখছে? সেই ধন্ধ মেটাতেই এবার তদন্ত শুরু হচ্ছে সরকারের তরফে। তদন্ত দ্রুত শেষ করার কথাও বলা হয়েছে এদিন। তদন্ত কমিটির দায়িত্বে পুলিশের আইজি প্রণব কুমার, দুই ডিআইজি ওয়াকার রেজা ও সোমা দাস মিত্র, কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুনঃ শান্তিপূর্ণ জমায়েতে অশান্তির ছক কষায় গ্রেফতার ২, দাবি পুলিশের
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মেয়াদকালে, ডাঃ ঘোষ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা মৃতদেহের অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হন। ড. ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ কমিশন ও টেন্ডার কারচুপির অভিযোগ ছিল। এমনকি ডাঃ ঘোষের বিরুদ্ধে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা মৃতদেহ অবৈধভাবে ব্যবহার করার অভিযোগও ছিল। বহুবার কলেজের কর্মীরা স্বাস্থ্য দফতর থেকে ডাক্তার সন্দীপের কাছে অভিযোগ করলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
‘তিনি একজন মাফিয়ার মতো’ – ডাঃ আখতার আলী
ডাঃ আখতার আলী, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট, বলেছেন যে ডাঃ সন্দীপ ঘোষ একজন অত্যন্ত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। তিনি শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে 20% কমিশন নিতেন। প্রতিটি কাজ এবং ছাত্রদের মদ সরবরাহ করে তিনি নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন। তবুও তার বিরুদ্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”