বিক্রম ব্যানার্জী, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় গড়ে উঠবে সৌরভ গাঙ্গুলীর(Sourav Ganguly) স্বপ্নের ইস্পাত কারখানা! অপেক্ষার আর মাত্র 18 থেকে 20 মাস। হ্যাঁ, সম্প্রতি কলকাতার এক অনুষ্ঠানে গড়বেতার ইস্পাত কারখানা নিয়ে এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা দাদাগিরির সঞ্চালক সৌরভ। জানা যাচ্ছে, আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রায় 0.8 মিলিয়ন টন উৎপাদন ক্ষমতার কারখানাটি গড়ে তুলবেন গাঙ্গুলী।
শুক্রবার কলকাতায় হয়ে যাওয়া এক অনুষ্ঠানে মেদিনীপুরের ইস্পাত কারখানা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সৌরভ। দাদা বলেন, গড়বেতায় আমাদের ইস্পাত কারখানাটির কাজ চলছে। কাজ শেষ হতে এখনও 18 থেকে 20 মাস লাগবে। তবে অনেকেই আশা করছেন আগামী এক দু মাসের মধ্যে ইস্পাত কারখানা চালু হয়ে যাবে। এটা বাস্তবে একেবারেই সম্ভব নয়। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক জানান, ফ্যাক্টরির কাজ শেষ করে কারখানাটি চালু করতে প্রায় 20 মাসের মতো সময় প্রয়োজন।
দাদাগিরির সঞ্চালক আরও বলেন, মেদিনীপুরে যে কারখানাটি গড়ে উঠছে তা আমাদের তৃতীয় এবং বৃহত্তম কারখানা হতে চলেছে। কারখানাটি তৈরির পাশাপাশি আশেপাশের পরিবেশের দিকেও নজর দিতে হচ্ছে আমাদের। ইস্পাত কারখানায় উৎপাদনের কাজ চালু করার আগে পরিবেশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সেই অনুমোদনের ছাড়পত্র পাওয়ার পরই কারখানাটি চালু করা যাবে। এই কাজ যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ।
সূত্র বলছে, সৌরভের সংস্থার এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মেদিনীপুরে যে কারখানাটি তৈরি হচ্ছে তার উৎপাদন ক্ষমতা হবে বছরে কমপক্ষে 8 লক্ষ টন। জানা যায়, প্রথমদিকে কারখানাটি শালবনিতে গড়ে তোলার কথা ছিল, তবে জমি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত গড়বেতায় কারখানাটি গড়ে তুলতে হচ্ছে। মেদিনীপুরের কারখানায় কত টাকা লগ্নি হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে আধিকারিক জানান, শালবনির বদলে গড়বেতায় কারখানাটি গড়ে তুলতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ক্যাপ্টেন স্টিলের মোট দুটি কারখানা রয়েছে, সৌরভের ইস্পাত কারখানা তাতে নতুন একটি পালক জুড়বে বলাই যায়। গড়বেতায় নির্মানাধীন নতুন কারখানায় উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে 1.3 মিলিয়ন টন হবে বলেই জানিয়েছে সংস্থা। সূত্র বলছে, এই গোটা প্রকল্পটি গড়ে তুলতে 350 একরেরও বেশি জমি প্রয়োজন, জানা যায়, এখনও নাকি জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। যা সম্ভবত খুব শীঘ্রই শেষ হবে। তবে, কারখানাটি একবার তৈরি হয়ে গেলে তাতে সৌরভ গাঙ্গুলীর উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব থাকবে বলেই জানিয়েছেন সংস্থার এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক।