রাজীব ঘোষ: সম্প্রতি রাজ্যের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হেরে যায় বিজেপি। ৪টি দখল করে তৃণমূল। তার মধ্যে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারী হারিয়ে দেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি(BJP) প্রার্থী মনোজ বিশ্বাসকে। আর তারপর থেকেই বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপির নেতা কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর হচ্ছে। তারা আক্রান্ত হচ্ছেন, ঘরছাড়া হতে হচ্ছে। তৃণমূল(TMC) একের পর এক বিজেপি নেতা কর্মীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। আর এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার সেই সমস্ত আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান।
যখন শুভেন্দুর কনভয় নদীয়ার গাংনাপুর এর উপর দিয়ে বিকেল বেলায় যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে তিনি যে রাস্তা দিয়ে যাবেন, আগেভাগে তৃণমূল কর্মীরা সেখানে জমায়েত করে ছিল বলে অভিযোগ। শুভেন্দুর কনভয় সেই রাস্তায় পৌঁছানোর সাথে সাথেই উপস্থিত জনতা শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন। পাশাপাশি জয় বাংলা স্লোগানও দেন তারা। আর এর পরেই মেজাজ হারিয়ে শুভেন্দু অধিকারী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। ওই বিক্ষোভকারী দিকে তেড়ে যান। হাতে জুতো নিয়ে(With shoes in hand) তাদের উদ্দেশ্যে গালাগালিও করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে।
এলাকা জুড়ে তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই সময়েই শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ওই জায়গা থেকে বিক্ষোভ কারিদের সরিয়ে দেন। তারপরে শুভেন্দুর কনভয় আবার এগিয়ে যায়। এর আগেও লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রাক্তন বিচারপতি এবং তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে তৃণমূলের একাংশ চোর স্লোগান দিয়েছিল। যদিও শুভেন্দু সেই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, হাতি বাজার দিয়ে চললে পিছনে অনেকেই চিৎকার করে। তবে অবশ্য তমলুক কেন্দ্রে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জিতে সাংসদ হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ উল্টো পুরাণ! কুণালের মুখে শুভেন্দুর প্রশংসা
এর আগেও এরকম ধরনের একাধিকবার ঘটনা ঘটেছে। বাঁকুড়ার সিমলাপাল এলাকায় দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে শুভেন্দু অধিকারী যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তায় তৃণমূলের কর্মীরা তার উদ্দেশ্যে স্লোগান দিতে শুরু করেন। শুভেন্দু অধিকারী সেখানেও গাড়ি থেকে নেমে তাদের দিকে তেড়ে যান। তবে নদীয়ার গাংনাপুরে তৃণমূল কর্মীদের ওই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, গাংনাপুরের ওসি এই ঘটনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার কথাও জানান তিনি। পাশাপাশি ওই সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের তিনি চিহ্নিত করেছেন বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দু বলেন, আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। আমি ওই স্লোগান শোনার পরে ওখানে নেমে ওদের দিকে তেড়ে যাই। ওদের একেবারে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে এসেছি। নির্বাচনের পর আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময়ই শুভেন্দুর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে।