রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু হয়ে উঠতে চলেছে দ্বিতীয় ঈশ্বরগুপ্ত সেতু (Second Iswar Gupta Bridge)। সেতু নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১৩৯৬ কোটি টাকা। এই দ্বিতীয় ঈশ্বরগুপ্ত সেতুই (Second Iswar Gupta Bridge) হুগলির (Hooghly) মগরার (Mogra) সঙ্গে নদিয়ার (Nadia) বড়জাগুলির (Borojaguli) সংযোগ রক্ষা করবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটারেরও বেশি। দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ স্তব্ধ আলুর জোগান! আতান্তরে মধ্যবিত্ত
এতদিন পর্যন্ত ১৯৭৫ সালে তৈরি ফরাক্কা সেতুই এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু। কিন্তু সেই তথ্য এবার পরিবর্তন হতে চলেছে। ১৩৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে চলেছে দ্বিতীয় ঈশ্বরগুপ্ত সেতু। ২১ কিমির বেশি দীর্ঘ সেতুটি হবে রাজ্যের দীর্ঘতম। সেতুর সঙ্গে আশপাশের এলাকা একাধিক চার লেনের উড়ালপুল দিয়ে যুক্ত করা হবে। সেতুটির সঙ্গেই সংযোগ গড়তে তৈরি হবে বাঁশবেড়িয়া রেল ওভারব্রিজও। ৩৫ মিটার চওড়া সেতুটি মোট ৬টি লেন বিশিষ্ট হবে।
হুগলির মগরার সঙ্গে নদিয়ার বড়জাগুলির সংযোগ আরও সুদৃঢ় করবে এই সেতু। হুগলির দিল্লি রোড এবং গঙ্গার পূর্বে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যেও সংযোগ স্থাপন করবে নতুন সেতু। ফলে চাপ কমবে নিবেদিতা ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর। নতুন তৈরি হওয়া সেতুর পাশেই রয়েছে পুরাতন ঈশ্বরগুপ্ত সেতু। সেটি দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল করলেও ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। তাই নতুন সেতু চালু হলে হুগলির মগরা, ত্রিবেণী, বাঁশবেড়িয়া, বড়পাড়া এবং নদিয়ার কল্যাণী, বড়জাগুলি-সহ আশপাশের এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়ে উঠবে।
২০১৬ সালে শুরু হয় দ্বিতীয় ঈশ্বরগুপ্ত সেতু নির্মাণের কাজ। কিন্তু জমি-জটের কারণে প্রায় বছর দেড়েক সেই কাজ থমকে ছিল। এখন জট কেটেছে এবং পুরো দমে চলছে কাজ। আশা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণ শেষ হবে। ডেনমার্কের একটি সংস্থা সেতুর নকশা করেছে। পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন খড়গপুর, চেন্নাই ও কানপুর আইআইটি-র প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।