Rituparna Sengupta asked protesters: একটি মেয়ের হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে, আরও একটি মেয়েকে হেনস্থার শিকার হতে হল! এই মানসিকতা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি না। আজকে বর্বরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। শ্যামবাজারের মোড়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতাটি হয়েছে কাল রাতে, সে বিষয়েই এদিন মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত(Rituparna Sengupta)। তাঁকে যে পরিমাণ হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তা স্মরণ করেই অভিনেত্রীর দাবি, ‘ওই রাতে আমি একা তো নয়, সোহম-শোলাঙ্কিরাও ছিল। গান গাইছিল ওরা। আমি ওদের সঙ্গে মিশে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমন কিছুর সাক্ষী হব, ভাবতে পারছি না এখনও।’
‘হুজুগে চলে এসেছিলেন জমায়েতে’
আনন্দবাজারের কাছে অভিনেত্রী আরও জানালেন, এত মানুষের মতো তিনিও সুবিচারের আশায়। তাই জমায়েতে যোগ দিয়ে মোমবাতি জ্বালাতে চান তিনিও। কিন্তু, তা আর হল না। আন্দোলনকারীরা তাঁকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে ফেরত পাঠালেন। উলুধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করলেন। গাড়িতে জুতো ছোড়া ছুঁড়লেন। অভিনেত্রীর দরজা খুলে সকলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েও পারলেন না। ফিরে আসতে বাধ্য হলেন। গাড়িটির অবস্থাও খারাপ। মেরে মেরে তুবড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিনেত্রীর দাবি, ‘আসলে আমার মনে হয়, কিছু মানুষ প্রতিবাদের কথা মাথায় না রেখে, হুজুগে চলে এসেছিলেন জমায়েতে।’
‘আমার প্রাণটাও যেতে পারত’
ঋতুপর্ণা(Rituparna Sengupta)রীতিমত মর্মাহত হয়ে আরও বলেন, বুধবার রাতে তাঁর প্রাণটাও চলে যেতে পারত। তিনি একজন অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ মানুষ হিসাবে, একজন নারী হিসাবে অন্য নারীর পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন। তবে এই ঘটনার পর না থেমে মনের মধ্যে প্রতিবাদ নিয়ে, একই ভাবে সুবিচার চেয়ে তিনিও এগিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘এ তো আমার চেনা কলকাতা। আবেগের, প্রতিবাদের জনসমুদ্র। কিন্তু এখন তো বর্বরতা ঘিরে ধরেছে। বুঝতে পারলাম না কেন এই আক্রোশ। আমি তো রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি এই শহরের সকলের সঙ্গে রাত জাগতে গিয়েছিলাম।’
প্রসঙ্গত, আর জি কর(RG Kar) হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চেয়ে কলকাতার রাস্তা এখন রাত হলেই দিন হয়ে উঠছে। রাস্তাজুড়ে এখন শুধুই মেয়েরা। সামিল হচ্ছে সারা টলিউড। পাবলিসিটি করছেন বলে অনেক অপবাদও শুনেছেন। তেমনই এদিন এক ভয়ানক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত(Rituparna Sengupta)। ওই ভিড়ের মাঝে ‘চটিচাটা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে তাঁকে। অসভ্যতায় অন্তরালে যেন আস্তে আস্তে জর্জরিত হয়ে পড়ছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর দাবি, ‘আসলে যাঁরা এটা করলেন তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য আন্দোলন করা নয়। একজন তারকাকে হেনস্থা করা। কাউকে পাচ্ছেন না, সামনে ঋতুপর্ণা ছিল ব্যস্, ঝাঁপিয়ে পড়লেন।’
এরপরেই সোচ্চার কণ্ঠে অভিনেত্রীর প্রশ্ন আমজনতার দিকে, ‘আমি প্রশ্ন করতে চাই আমার সমবেদনা জানানো কি অন্যায়?’