TMC MLA: তৃণমূলে উল্টো সুর! ‘উৎসবে’ ফিরছেন না ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

TMC MLA: ‘এক মাস তো হয়ে গেল। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন। উৎসবে(Festival) ফিরে আসুন।’ পুজো এগিয়ে আসতেই কলকাতা বাসীকে পুজোয়(Puja) ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এবার সেই একই দলের বিধায়ক বলছেন, ‘তৃতীয় বর্ষের পুজোতে নেই তিলোত্তমা। দুই মায়ের চোখে জল, ভারাক্রান্ত মন। আনন্দ আর নতুন জামাকাপড় বাদ।’

ব্যাপারটা ঠিক হল? অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে! প্রাক্তন আইপিএস ও ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) হুমায়ুন কবীর, বরাবরই মানুষের পাশে থাকেন। তাঁর কাজের যথেষ্ট প্রশংসাও করা হয়। আর জি কর(RG Kar) কাণ্ডে সমব্যথী তিনিও। তাও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনিই লিখেছেন এমনটাই।

স্বাভাবিকভাবেই এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিধায়ক আরও বলেছেন, ‘ঠাকুর দেখতেও বেরোবে না এবার। আমার ছেলে ডাক্তার। একই বয়সী হয়তো, একটু আগে পাশ করে বেরিয়েছে। ওকে দেখলেই মেয়েটার কথা মনে পড়ে। সব সময় মনে পড়ছে। কোথায় এটা চিনচিন করে কষ্ট হয়। পুজোর সময় পাজামা পাঞ্জাবি কিনি। ধুতি পরি। এবার কিছুই কিনব না । ভালো লাগছে না একদম।’

মুর্শিবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ন কবীর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যেখানে বেজায় রুষ্ট। কথায় কথায় বিঁধছেন। কিন্তু প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর(Humayun Kabir) একেবারেই সেই একই পথের যাত্রী নন। তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার পরামর্শ দিলেও, পুজোয় না করে দিয়েছেন।

কবিরের দাবি, মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবিরের সমর্থন করেন না তিনি। তবে তিনিও ডাক্তারদের কাজে ফিরতে বলেন। তাঁর কথায়, ‘আমাদের যা বিচার ব্যবস্থা, তাতে সময় লাগবে। বিচার ওভারনাইট হয় না, ডাক্তারবাবুরা যেটা চাইছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনটা আমি বুঝি। আমার মনে হয়, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরুন। উৎসবে নাও ফিরতে পারেন, কাজে ফিরুন।’

আরও পড়ুনঃ পুজোর মৌতাতে পকেটে টান, মদের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রাজ্যে

প্রসঙ্গত, পুজোয় না ফিরলেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে কার্ড পাঠাবেন প্রাক্তন আইপিএস ও তৃণমূল বিধায়ক। শুভেচ্ছাও জানাবেন। কিন্তু পুজোয় ফিরবেন না। হুমায়ুন কবিরের স্পষ্ট দাবি, ‘ভেতর থেকে একটা কষ্ট আছে এবার। একদম ব্যক্তিগত কষ্ট। যখন ছেলেকে দেখি মেয়েটার কথা মনে পড়ে। ছেলে ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজে পড়ত।’