দেবব্রত মণ্ডল: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন চলছে ধর্মতলায়। গতকাল জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানানো হয়েছে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে কেউ আন্দোলনে যোগ দিতে চাইলে তিনি স্বাগত নন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে জুনিয়র চিকিৎসকরা যেভাবে অরাজনীতির মোড়কে আন্দোলনকে বাঁধতে চাইছেন তা কতটা যুক্তিযুক্ত? সিপিএমের (CPIM) যুব সংগঠনগুলি প্রথম দিন থেকে আন্দোলনের (RG Kar Protest) পাশে থেকেছে। আন্দোলনের ক্ষেত্রে ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় থেকে কলতানরা বারংবার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা তাদের আন্দোলনকে ‘অরাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে আসলে আন্দোলনের ক্ষতি করছেন না তো? প্রশ্ন উঠছে।
তবে সিপিএম সূত্রে খবর, দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলেও সিপিএম নেতৃত্ব আন্দোলনকে সমর্থন জুগিয়ে যাবেন। তবে খেয়াল রাখা হবে কোনভাবেই যেন জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সেকারনেই এখনই কোন বড় সভা – সমাবেশের পথে হাঁটতে চাইছে না সিপিএম নেতৃত্ব। জানা গেছে, প্রথমে ঠিক ছিল পুজোর পরেই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাস্তায় নামবে সিপিএমের মহিলা ব্রিগেড। কিন্তু যেভাবে জুনিয়র চিকিৎসকরা গত কয়েকদিনে বারংবার নিজেদের আন্দোলনকে ‘অরাজনৈতিক’ বলে দাবি করেছেন তাতে সিপিএম নেতৃত্ব কিছুটা দোলাচলে। সেকারনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আপাতত কোন বড় সভা – সমাবেশ না করে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে সেগুলিকে সমর্থন করার।
সিপিএম সূত্রে খবর, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকদের অরাজনৈতিক দাবি থেকে নয়, এখনই সিপিএম বড় কর্মসূচি গ্রহণ করতে চাইছে না কারণ সিপিএমের একটা বড় অংশের কর্মী – সমর্থক স্বস্তস্ফূর্তভাবে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। ফলে সিপিএম নেতৃত্ব চাইছে না এখনই পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করতে।
এসবের মধ্যেই রাজ্যে আসতে পারেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত। তিনি নাকি রাজ্য নেতৃত্বের থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। এখন দেখার আগামী দিনে আর জি কর আন্দোলন প্রসঙ্গে সিপিএম কোন নীতি গ্রহণ করে।