RG Kar Case TMC Women protest: আর জি কর কান্ডের(RG Kar Case) রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজ্যবাসী। গত 9 আগস্ট কলকাতার মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়া খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই পথে নেমেছে জনগণ। রাজ্য তথা দেশ ছড়িয়ে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল নজির গড়েছে বিশ্ব দরবারে। তবে শহরের একজন মহিলা চিকিৎসকের উপর হওয়া নারকীয় অত্যাচারের ঘটনায় বারংবার প্রশ্ন উঠেছে শাসক শিবিরের দিকেই।
এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, যেই দলে বেশিরভাগ সাংসদ মহিলা, সেই পর্বে দলের মহিলা নেতৃত্ব প্রথম থেকে কেন চুপ এই প্রশ্নও ওঠে বহুবার। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মহিলাদের প্রতিবাদ মিছিলের পর ফের আরও একবার আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শহরের রাজপথে নামতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলারা(TMC Women Protest)। আগামী 30 সেপ্টেম্বরের মিছিলের আগেই সেই কথা জানিয়েছেন তারা।
আর জি কর কাণ্ডে আবারও পথে নামছেন তৃণমূলের মহিলারা
আর জি কর হাসপাতালে হওয়া নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন বিদ্ব জন থেকে শুরু করে বিরোধী মহল। প্রশ্ন উঠেছে, একজন মহিলা চিকিৎসকের সাথে ঘটা এমন অকল্পনীয় ঘটনায় কীভাবে চুপ থাকতে পারে শাসক শিবিরের মহিলা নেতৃত্ব? এছাড়াও একাধিক সুবিধাবাদী রাজনীতির মতো মন্তব্যও হজম করতে হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে। যদিও বেশ কিছুদিন পর মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পথে নামেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদ সহ অন্যান্য মহিলা নেতৃত্ব। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলছে।
আগামী 30 তারিখ শহরের রাজপথে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের(Chandrima Bhattacharya) নেতৃত্বে আর জি কর মামলায় প্রতিবাদী কন্ঠ ছাড়বেন মহিলারা। জানা যাচ্ছে, এদিন কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে পথে দেখা যাবে মহিলাদের। বেশ কিছু স্লোগানকে পুঁজি করে রাজ্যের রাস্তায় রাজত্ব করবে মেয়েরা। সূত্রের খবর, রবিবার কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে বিড়লা তারামন্ডল পর্যন্ত বিরাট পদযাত্রায় অংশ নেবেন রাজ্যের বহু নারী। তার আগে 28 তারিখ রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সংগঠনের কর্মসূচি।
আরও পড়ুনঃ মহালয়ার সাত দিন আগে বোধন আমাদপুরে চৌধুরী বাড়ির পুজোয়
প্রসঙ্গত, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার
তিলোত্তমার বিচার চাই, কেন চুপ সিবিআই স্লোগানকে সামনে রেখে পথে নামার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে লিফলেট বিলি করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলারা। সব মিলিয়ে, গোটা অভায়া কাণ্ডে একাধিক কটাক্ষ ও আক্রমণের শিকার হয়েই কি শাসকদলের মহিলা নেতৃত্বের এই নয়া পদক্ষেপ? নাকি অন্য কোনও জবাব খুজছেন তারা? উত্তরের আশায় সিংহভাগই।