RG Kar Case: ফুটবল বনাম পুলিশি দমন! মোহন-বেঙ্গল সমর্থকদের প্রতিবাদের ডাক সুখেন্দুর

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

আরজিকর কাণ্ডের(RG Kar case) প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন সুখেন্দু(Sukhendu Shekhar Ray)। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। একসঙ্গেই আরজিকর কাণ্ডে(RG Kar case) একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। তারপরেই রবিবার লালবাজারে তাকে তলব করা হয়।

তবে রবিবার লালবাজারে যাননি তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। লালবাজারের তলবে হাজিরা দেননি তিনি। তাকে দ্বিতীয় বার তলব করার কথা শোনা গেলেও সুখেন্দু ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয়বার তলবের কোনো নোটিশ তিনি এখনো পাননি। রবিবার রাতেই এক্স হ্যান্ডেলে সুখেন্দু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গান পোস্ট করে প্রতিবাদ জানান। “আমি করবো না ভয়” এই গানটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে আরজি কর ইস‍্যুতে(RG Kar case) তার অবস্থানে অনড় থাকার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আর তারপরেই আরো একধাপ এগিয়ে রবিবার বিকেলে যুবভারতী স্টেডিয়ামের সামনে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং পরবর্তীতে মহামেডান সমর্থকদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সুখেন্দু।

এক্স হ‍্যান্ডেল পোস্টে সুখেন্দু লিখেছেন, ‘আমি সমস্ত ফুটবল এবং ক্রীড়া সমর্থকদের আবেদন জানাচ্ছি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতে পুলিশের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদে সামিল হোন। জয় মোহনবাগান, জয় ইস্টবেঙ্গল।’

প্রসঙ্গত, রবিবার পুলিশের তরফে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। লালবাজার রবিবার বিকেলে সুখেন্দুকে তলব করলেও সেখানে হাজিরা দেননি তিনি। বরং ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সমর্থকদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ লাইফ ফেলো; ইসরোর চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠা দিবসে উজ্জ্বল আইআইটি খড়গপুর

আরজি কর ইস‍্যুতে প্রথম থেকেই চড়া সুরে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছিলেন তিনি। পাশাপাশি মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে তিনি অবস্থান ধরনা করেছিলেন। তারপরেই একধাপ এগিয়ে সিপি বিনীত এবং প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপকে সিবিআই কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করার দাবি জানিয়েছিলেন। লালবাজার তলব করলেও সেখানে তিনি হাজিরা না দিয়ে ফের বিদ্রোহের ডাক দিলেন।