RG Kar Case: সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার পুলিশের ওসি! তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ

Last Updated:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

RG Kar Case: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক হত্যা মামলায় সেরা মোড়। অভয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই(CBI)। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের(RG Kar Medical College) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ(Sandip Ghosh) এবং টালা থানার(Tala Police Station) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর আগে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর প্রাক্তন অধ্যক্ষকে প্রথমে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার হন সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর দুর্নীতি মামলায় ইডিই গ্রেফতার করেছিল সন্দীপ ঘোষকে। এবার ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রমাণ কারচুপির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ঘোষকে ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এইভাবে এ মামলায় এখন মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপের পর প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসকরা উৎসবে মেতে ওঠেন। সিবিআইয়ের পদক্ষেপের পরে, একজন জুনিয়র ডাক্তার বলেছেন যে কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং এসএইচও অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছিল। কারণ তাঁরা উভয়ই প্রমাণের নিয়ে ছেরখানি করছিলেন। অবশেষে এবার সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করায় ডাক্তাররা খুবই খুশি। তদন্তকারী সংস্থার উচিত আর যাঁরা যাঁরা প্রমাণের সাথে কারচুপি করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা। এমনটাই দাবি করেছেন সকলে।

আরও পড়ুনঃ বেঙ্গালুরু এফসির সামনে টিকলো না কুয়াদ্রাতের কৌশল, প্রথম ম্যাচেই হার লাল হলুদের

প্রসঙ্গত, অভয়ার হত্যাকাণ্ডের পরে 13 অগস্ট, কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্ত কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই 14 অগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ সিবিআই এই মামলায় বড় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।