আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একাধিক প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার! সেই সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুর নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের সম্মুখীন রাজ্য পুলিশ। সিবিআই-এর কাছে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
আরজি কর-কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সেই মামলার প্রথম শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। সেখানেই সুপ্রিম কোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য ও পুলিশ। প্রশ্ন ওঠে আরজি করের অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য জানায়, মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর দায়ের হয় বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “সৎকারের জন্য মৃতদেহ কখন পরিবারকে দেওয়া হয়? এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেহ দিয়ে দিলেন?” প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “বিকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল বেলা ১১টা ৪৫মিনিটে। তার আগে কী করছিলেন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ? ওই সময়ে মৃতার বাবা-মা ছিলেন না। হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।” সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই কী ভাবে আবার অন্য মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদ পেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ১৪ আগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর তীক্ষ্ণ কটাক্ষ, “পুলিশ কী করছিল? পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?” প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটা নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা নয়। আমরা দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চিকিৎসকরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন সেই দিকটি নিশ্চিত করা দরকার।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা খুবই চিন্তিত। স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্য কী ভাবে হাসপাতাল ভাঙচুর করতে দিল?” বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন। এই জন্য সাত জনের টাস্ক ফোর্স গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।