আরজি কর কাণ্ডে(RG Kar Case) বারংবার কাঠগড়ায় উঠতে হয়েছে রাজ্যকে। মঙ্গলবার আবারও নারীদের নাইট শিফটের বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। আর জি কর হাসপাতালে জুনিয়র মহিলা চিকিৎসক- পড়ুয়া খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় দীর্ঘ জল গড়ানোর পর কর্ম ক্ষেত্রে মহিলাদের নাইট শিফট নিয়ে নড়ে চড়ে বসে রাজ্য সরকার(WB Government)। বিজ্ঞপ্তি জারি করে, নারীদের রাতের কাজ(Women’s night duty) থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও জানানো হয়। এবার সেই বিজ্ঞপ্তিতেই ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme court) প্রধান বিচারপতি
আরজি করের মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় শুনানি হওয়ার কথা ছিল আগেই। তবে প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে পূর্ব নির্ধারিত সেই শুনানি ভেস্তে গেলেও মঙ্গলবার সেই পর্ব শুরু হয়েছে। সেখানেই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আইনজীবীর কথা শেষ হতেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, মহিলারা রাতে কাজ করবেন না কেন? তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের বিজ্ঞপ্তি কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি।
তিনি আরও জানান, মহিলাদের কর্ম ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি একেবারেই ঠিক নয়। বিমান পরিষেবা থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীতে এমন অনেক মহিলা রয়েছেন যারা রাতে কাজ করেন। সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে সরকার অভিহিত। তা সত্ত্বেও এমন বিজ্ঞপ্তি কেন? এদিন মহিলাদের পক্ষ নিয়ে বিচারপতির আরও সংযোজন, রাজ্যের মহিলা চিকিৎসকরা সব রকম পরিস্থিতিতে কাজ করতে তৈরি। তারা এমন বিচার চান না। তারা সমাজে সমান সুযোগ প্রত্যাশা করেন। আর তা সুনিশ্চিত করা রাজ্য সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।
আরও পড়ুনঃ মনোজ বর্মা নতুন পুলিশ কমিশনার, ডাক্তার দাবিতে সরলেন বিনীত গোয়েল
প্রসঙ্গত, গত আগস্টেই আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে, মহিলাদের নাইট শিফটের বিষয়টিতে নজর দেওয়ার কথা বলেন। এদিন মহিলাদের রাত্রিকালীন কর্ম বিরতীর আশ্বাসও দেওয়া হয়। আর সেই সিদ্ধান্তেরই ঘোর বিরোধী বিচারপতি চন্দ্রচূড়। যদিও বিচারপতির নির্দেশে বিজ্ঞপ্তির বিতর্কিত অংশটি মুছে দেবেন বলেই জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল।