RG Kar Case: “ধর্ষণ আটকাতে না পারলে জেলে ঢুকবো”, ভাইরাল শিক্ষিকার হুঙ্কার

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

আরজি কর ইস‍্যুতে (RG Kar Case) সুবিচারের দাবিতে যখন দেশ তথা রাজ্যের নাগরিক সমাজ একেবারে রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ আন্দোলন করছে, ঠিক সেই সময়ে এক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বক্তব্য রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে এবং তার এই বক্তব্য প্রশংসিত হয়েছে। নেটিজেনদের মন কেড়ে নিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার ওই বক্তব্য। যদিও GNE Bangla-র তরফে ঐ ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করা হয়নি।

তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বক্তব্যে যে কথা বলেছেন তা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভাইরাল ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “এটা আমার কাছে আনন্দের যে তোমরা নিজেরা আমাকে চিঠি করেছ। তোমরা এই প্রতিবাদে সামিল হতে চাও। আমরা সরকারি চাকরি করি। অনেক সময় আমাদের অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। ওই যে পুলিশরা আজকে এসেছে, গতকাল পর্যন্ত তিনবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এটা ওদের দোষ নয়। কিন্তু আজকে ওরা যে এসেছে, সেটার কারণ ওদের পোশাকের নিচে যে মনুষ্যত্ব আছে সেটার টানে।”

এখানেই শেষ করেননি প্রধান শিক্ষিকা। ভিডিওতে তার বক্তব্যে শোনা যাচ্ছে, তিনি আরো বলেছেন, “অফিসিয়ালি কোনো অনুমতি আমরা পাইনি। আমরা ঠিক করেছিলাম যদি জেলে ঢুকতেই হয় তাহলে রাস্তায় নেমে ঢুকবো। ঘরে বসে থাকবো না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হলে সব সময় ইল্লিদিল্লী পৌঁছতে হবে এমনটা নয়। বাড়িতে থেকেও প্রতিবাদ শুরু করা যায়। তোমার কাজ তুমি করো”। এরপরেই ওই প্রধান শিক্ষিকাকে মেয়েদের নাইট ডিউটি না দেওয়া এবং তার সঙ্গে দুর্নীতির বিষয়েও বেশ কিছু মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার ওই বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। যেমন এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আমার মায়ের বয়স ৮১ বছর। মা এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।সেই স্কুলের ছাত্রীরা নোংরামির প্রতিবাদ করছে। আমার সমর্থন রয়েছে।’আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনাকে প্রণাম জানাই দিদিমণি।’ ওই ভাইরাল ভিডিওতে তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে আরো বলতে শোনা যায়, “যদি রাষ্ট্র ভেঙ্গে পড়ে, তাহলে ১৮ বছরের নিচের মানুষদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজের অধিকারের জন্য যে কোনো নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াবে। এটা বুঝে রাখো। যদি একটা ১২ বছরের মেয়ের ধর্ষণ আটকাতে না পারি, তাহলে একটা ১২ বছরের মেয়ের সিদ্ধান্তকে আমাদের মর্যাদা দিতে হবে। অন্য কোনো মেয়ের প্রতি যদি অন্যায় হয় তাহলে তার পাশে দাঁড়াবে।” মূলত স্কুলের ছাত্রীদের উদ্দেশ্যেই প্রধান শিক্ষিকা ওই বক্তব্য দিয়েছেন।