আর জি কর(RG Kar) হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যেমন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলেছে তেমনি শাসক দলও তার পাল্টা জবাব দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে আর জি করে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে যেভাবে স্বতস্ফূর্ত আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাতে শাসক দল বেশ চাপে।
এই পরিস্থিতিতে আজই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দেন। তাদের মূল দাবি ছিল চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, ধর্ষণ এবং চিকিৎসক খুনে জড়িতদের শাস্তি। সেইসঙ্গে তারা দাবি করেছিলেন আর জি করের প্রিন্সিপাল, চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রধানকেও সরাতে হবে। বৈঠকে অবশ্য স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা সেভাবে আশার বাণী শোনাতে পারেননি জুনিয়র চিকিৎসকদের। তবে রাত গড়াতেই আন্দোলনকারীদের দাবি মানল স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে হাসপাতালের নবনিযুক্ত সুপার সহ চারজন শীর্ষকর্তাকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে সন্দীপ ঘোষকেও সরানো হচ্ছে। আপাতত ছুটিতেই থাকবেন তিনি।
স্বাস্থ্যভবনের তরফে আরও বলা হয়েছে, বারাসাত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর জি করের(RG Kar) নতুন অধ্যক্ষ করা হচ্ছে। বাঁকুড়া মেডিক্যালের এম এস ভি পি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে RG Kar আনা হচ্ছে নতুন এম এস ভি পি করে।
এখানেই শেষ নয় অপসারণ করা হয়েছে আর জি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানকেও। তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে প্রফেসর হিসেবে। এসিস্ট্যান্ট সুপার সুচরিতা সরকারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর আন্দোলন শুরু হয়েছে গোটা দেশে। আন্দোলনে সামিল হয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রাও। লাগাতার আন্দোলনের চাপেই শেষপর্যন্ত চিকিৎসকদের বেশকিছু দাবি মানতে বাধ্য হল সরকার। এমনটাই মনে করছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এখন দেখার তারা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন কিনা।