আলুর (Potato) দাম বাজারে বাড়বে নাকি কমবে, অবশেষে সে বিষয়ে ফয়সালা হল! বুধবার হুগলির হরিপালে প্রগতিশীল আলু (Potato) ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বৈঠকে বের হল সমাধানসূত্র। ধর্মঘট প্রত্যাহার করছেন আলু ব্যবসায়ীরা, ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই বাজারে আলুর (Potato) জোগান স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে নিষ্কৃতি মিলবে আলুর ক্রমবর্ধমান দাম থেকে।
বুধবার দুপুরে হরিপালে আলু (Potato) ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বৈঠক করেন। ব্যবসায়ী সমিতির তরফে এরপরেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। বৈঠকে রাজ্যের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্য রাজ্যে আলু রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বক্তব্য, বিভিন্ন বাজারে হিমঘর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে আলু পাঠানো হবে। খোলা থাকবে ৪৯৩টি ‘সুফল বাংলা’ কাউন্টার।
রাজ্যের সীমান্তগুলিতে আলু রপ্তানির সময় পুলিশি জুলুমের অভিযোগ এনে আলু ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতির ডাক দেন গত ২০ জুলাই। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য ছিল, তাঁদের তরফে কোনভাবেই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়না। বাজারে আলুর চাহিদা ও জোগানের উপর আলুর দাম নির্ভর করে। কিন্তু আলুর দাম কমাতে কোনও রকম লিখিত নির্দেশ ছাড়াই রাজ্যের সীমান্তে রপ্তানিরত আলুর ট্রাকগুলি আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল আলু ব্যবসায়ীদের। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়ে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
এর ফলে হিমঘর থেকে আলু সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় খোলা বাজারে আলুর ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছিল। দাম বাড়ছিল আলুর। বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা দরে এবং জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। অবশেষে আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে আলুর জোগান স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।