Police Protest: আরজিকর কাণ্ডে(RG Kar Case) রাজ্য সরকার থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যম, সমস্ত জায়গাতেই পুলিশকে আক্রমণ করে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে কর্মীদের বিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল থেকে শুরু করে পুলিশ মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কোনোমতেই ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন।
আরজিকর কাণ্ডে পুলিশ তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে বলে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। কোনো কিছুই লুকানোর চেষ্টা করা হয়নি। তারপরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজিকর কাণ্ডের তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর হাতে। প্রায় ১৫ দিনের উপর সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত সিবিআই কাউকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে মানুষের মনের মধ্যেও সিবিআই এর তদন্ত নিয়েও অনেক প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাস্তায় নেমে তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ বিরোধী সেই স্লোগান ছিল- “পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়”.. এবার তার পাল্টা জবাব দিতে পথে নেমেছে পুলিশ কর্মীরাও(Police Protest)।
পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার থেকে শুরু করে একেবারে নিম্নস্তরের পুলিশ কর্মী সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা জবাব(Police Protest) দিতে নেমেছেন। প্রত্যেককেই সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে পাল্টা স্লোগান। সেখানে পুলিশের তরফে স্লোগান তোলা হয়েছে-“পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়”… রাজ্যের দীর্ঘ আন্দোলনের ইতিহাসে কোনোদিন পুলিশের তরফে এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে একত্রিত ভাবে পুলিশ বিরোধী স্লোগানের পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে বলে সেরকমটা মনে করা যাচ্ছে না।
নিম্নস্তরের শুধুমাত্র পুলিশ কনস্টেবল বা পুলিশ কর্মী নয়, একেবারে উচ্চপদস্থ আধিকারিক, কলকাতার জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক হেডকোয়ার্টার) থেকে শুরু করে ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ), ডিআইজি (ঝাড়গ্রাম রেঞ্জ), বিভিন্ন জেলার এসপি, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসাররাও একযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশবিরোধী শ্লোগানের পাল্টা জবাব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ দুর্নীতির টাকা ফেরত দেওয়া শুরু বাংলায়!কথা রাখলেন মোদি
ওই স্লোগানে আরো লেখা হয়েছে– “হচ্ছে বড় ছেলেও তোমার, তার দায়ও কী পুলিশের একার?”… প্রসঙ্গত, ছাত্র সমাজের ব্যানারে ডাকা নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্য এবং সংযমের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশকে আক্রমণ করার পরে পুলিশ জলকামান এবং টিয়ার গ্যাস দিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এর ফলে আন্দোলনকারীরা কিছুটা জখম হলেও সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশীষ চক্রবর্তী চোখের দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন। নবান্ন চলো অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতারি শুরু হয়েছে। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা এই ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করে হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা করেছে, তাদের সকলকে খুঁজে বের করে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।