বিক্রম ব্যানার্জী: হিংসার আগুনে জ্বলছে ওপার, নিরাপত্তা বেড়েছে এপারে। পরিস্থিতি যখন এমন, ঠিক সেই মোক্ষম সময়ে কলকাতা(Kolkata) থেকে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের 4 শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয়ের ডাউকি থানার পুলিশ। গত রবিবার নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে আটক করা হয় তাদের। সূত্রের খবর, ওই 4 বাংলাদেশি নেতার বিরুদ্ধে পশ্চিম জৈন্তা হিল জেলার এক ট্রাক চালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিক গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হওয়া 4 ব্যক্তি বাংলাদেশের সিলেট জেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন খান, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, সিলেট যুবলীগের সভাপতি আলম খান ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ট্রাক চালককে মারধরের অভিযোগে ডাউকি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বেশ কিছু তথ্য মারফত খবর, রবিবার ভোরে মেঘালয়ের ডাউকি থানার পুলিশের তৎপরতায় নিউ টাউন থেকে গ্রেফতার হন ওই 4 বাংলাদেশি। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে ডাউকি থানায় মামলা দায়ের করেছেন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। আর সেই মামলার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। মেঘালয়ের এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, 4 বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নেতাকে গ্রেফতারির পর রবিবার রাতেই মেঘালয়ের পশ্চিম জৈন্তা হিল জেলার প্রধান শহর জয়াইয়ে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা সকলেই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবক জানান, গত 5 আগস্ট আওয়ামী ও যুবলীগের ওই 4 নেতা সিলেট থেকে চোরাপথে শিলংয়ে পালিয়ে আসেন। এরপরই স্থানীয় পুলিশকে তারা গোটা বিষয়টি জানান। বাংলাদেশি নেতাদের বক্তব্য, তাদের বিরুদ্ধে ট্রাক চালককে মারধোরের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা। এই ধরনের কাজ তারা করেননি।