Supreme Court: সোমবারই জামিন পাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ইডি-র ব্যর্থতাকে সামনে এনে তীব্র ভৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

বিক্রম ব্যানার্জী: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির মামলায় জামিন পেয়ে যাচ্ছেন একের পর এক অভিযুক্তরা। মায়ের মৃত্যুর কারণে প্যারোলে জেলমুক্তির পরই সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে জামিন পেয়েছেন অপার ‘অ’ অর্থাৎ বান্ধবী অর্পিতা। একই সাথে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন হয়েছে কুন্তল, সান্তনু থেকে শুরু করে জীবনকৃষ্ণ সাহা প্রায় সকলেই। এহেন আবহে জেলের মধ্যেই দুঃখের দিন গুনছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মূল মাথা(অভিযুক্ত) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শেষ বারের মত 20 নভেম্বর বিচারকদের মতপার্থক্যের জন্য জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় তার।

25 নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার বান্ধবী অর্পিতার জামিনের পরই জেলে যেন একেবারেই মন টিকছে না পার্থর। অর্পিতার জামিনের পরের দিনই 10 লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ইডির মামলা থেকে নিস্তার পেয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলত পরিচিতদের জামিনের পরেও কেন তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে এই প্রশ্নেই প্রহর গুনছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের(Supreme court) প্রশ্নবানে বিদ্ধ হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ 27 নভেম্বর, বুধবার রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিনই নাকি বিচারকদের ভৎসনার শিকার হতে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে ইডির বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে কাঠগড়ায় তোলেন উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা। ইডি আধিকারিকদের নিশানায় এনে বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, ‘এভাবে এতদিন কি কাউকে আটকে রাখা যায়? আপনাদের দোষী সাব্যস্ত করার হার কত?’ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সাফল্যের হার জানতে চেয়ে বিচারক মন্ডলীর বক্তব্য, ‘আপনাদের সাফল্যের হার খুবই খারাপ।

সাফল্যের হার যদি 60 থেকে 70 শতাংশ হত তাহলেও মানা যেত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এখন জামিন দিলে কী সমস্যা হবে? কে এই অর্পিতা? পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। এটা ঠিক তিনি প্রভাবশালী ছিলেন। কিন্তু ঘুষের টাকা কেউ বাড়িতে রাখবেন না। শুধু বয়ান দিয়ে কাজ চলবে না। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমান দরকার।’ আগামী সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে উচ্চ আদালতে। ধারণা করা হচ্ছে, এদিন ইডি আধিকারিকরা প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য প্রমাণ না দিতে পারলে তাকে জামিন দিতে পারে আদালত।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে চরম অপমান করলেন রাহুল গান্ধী! অভিযোগ এনে নিজেদের বাঁচাতে চাইছে বিজেপি?