Parambrata Chattopadhyay: অবশেষে, হাজারও বাকবিতন্ডা পেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বিকেলে মিটিংয়ে বসছেন মমতা(Mamata Banerjee’s)। ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের(Junior Doctors) কাছে মুখ্যসচিবের ইমেল পৌঁছে গিয়েছে। তবে এর আগে মিটিং না হওয়ার জন্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়(Parambrata Chattopadhyay) যা যা বলছেন, সবটাই ছিল বিস্ফোরক। তাঁর প্রতিটি প্রশ্ন ও উক্তি ছিল বিদ্রোহের আগুনে ঘি ঢালার মতন।
অত্যন্ত ভদ্রভাবে, কোনোরকম শালীনতা বা ভব্যতার সীমা না অতিক্রম করেও যে দৃঢ় ভাবে নিজেদের দাবির কথা বলা যায়, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়ে থাকবে, গতকাল মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতীক্ষা! ইনস্টাগ্রামে হঠাৎ সরব পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তর্জা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে ডাক্তাররা। এমন সময় পরমের লেখনি, ‘উল্টোদিকের মানুষটিকে সম্মান জানিয়েও নিজেদের সম্মান ও সুরক্ষার জন্যে তাঁদের যে লড়াই, সেটি নিজেদের দাবিগুলির প্রতি তাঁদের বিশ্বাস, এবং বৃহৎ পরিণত মনস্কতার পরিচয়! কুর্নিশ তাঁদের!’
এদিকে, এদিন ডাক্তারদের আন্দোলন স্থলে সমর্থন জানাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা। মমতার এই পদক্ষেপের প্রশংসায় পরবব্রতের দাবি, ‘এই ঘটনার আগে, ধর্ণা মঞ্চে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর পৌঁছে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে সাধুবাদ জানানোর মতো, অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ! দেশের অন্য কোনও রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে শাসকের এরকম ভঙ্গি দেখা গিয়েছে বলে আমার স্মৃতিতে বা জ্ঞাতসারে নেই। খুব কম প্রশাসনই এতটা সময় ধরে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলন চলতে থাকা বরদাস্ত করে! সাধারণত তাঁদের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো আন্দোলনকে আরও অনেক আগেই রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে দমিয়ে দিতে তাঁরা চেষ্টা করেন। উত্তর ভারতে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলন তার জ্বলন্ত উদাহরণ!’
সবার প্রশংসা শেষে, এবার নিজের প্রশ্নবান হাতে মাঠে নামেন পরম। অভিনেতার প্রথম প্রশ্ন, ‘এই পদক্ষেপ আরেকটু আগে নেওয়া যেত না? ডাক্তাররা অভয়ার মৃত্যু কে সামনে রেখে অনেক বড়ো আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কে ঘৃণ ও ভয় মুক্ত করার লড়াই। রাত দখলের লড়াই একটা ছোট এক রাতের অবস্থান নয়! লিঙ্গ বৈষম্যের মানসিকতা ও রাজনীতির মুলে আঘাত হানার এক ভীষণ দরকারি চেষ্টা… আগ বাড়িয়ে দলীয় রাজনীতির রঙে না রাঙিয়ে, এনাদের সঙ্গে আরো আগে এনগেজ করা যেত না?’
এদিকে এখন জুনিয়র ডাক্তারদের নিত্যদিন কাজে ফিরতে বলা হচ্ছে। রোগী মৃত্যুর দায়ভার পড়ছে তাঁদের কাঁধে। এমন পরিস্থিতিতে, পরমের মতে, ‘সব থেকে বড়ো কথা, এই যে বার বার কাজে ফিরতে বলা হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের, সেটা অনেক আগেই হয়তো তারা স্বেচ্ছায় করতেন, তাদের কথা গুলো শোনা হলে! অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা যে পরিষেবা পাচ্ছেন না, তার দায় তাহলে কার? ডাক্তার দের একার?’
আরও পড়ুনঃ রাতের ভিডিও প্রকাশ্যে! এখনও চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন
নিজের দ্বিতীয় জিজ্ঞাসাও এদিন ছুঁড়েছেন অভিনেতা। লিখেছেন, ‘আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দু পক্ষের আলোচনা একটি নেগোশিয়েশন সেখানে কিন্তু রাষ্ট্র এবং আন্দোলনকারী, দু পক্ষেরই সমান অধিকার! লাইভ স্ট্রিমিং যদি বা নাও হয়, ভিডিও রেকর্ড করতে চাওয়া টা সম্পূর্ণ ন্যায্য! তাছাড়া তারপরেও তো তাঁরা সব মেনে নিয়ে মিটিং করতেই চেয়েছেন! আধ ঘন্টা সময়! তখন আর করা হলো না কেন?’
আরও পড়ুনঃ জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে আলোচনার শেষ চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর! আজ বিকেল 5 টায় বৈঠক
পরম জানেন, তাঁর এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এত সহজ একেবারেই নয়। তাই তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রশ্ন গুলো ও সহজ নয় আজকের পরিস্থিতি তে, উত্তর তো সহজ নয়ই….যা দেখলাম যা পড়লাম যা খবর নিলাম তার ভিত্তিতেই উপরের উপলব্ধি/ জিজ্ঞাসা…তার বাইরের তথ্য আমার কাছে নেই… কারুর কাছে থাকলে তার অভিমত আলাদা হতেই পারে.।’
A post shared by Parambrata Chattopadhyay (@parambratachattopadhyay)