Nabanna Abhijan: মঙ্গলে ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানকে(Nabanna Abhijan) ঘিরে এবার বৃহৎ মাপের ষড়যন্ত্রের কথা ফাঁস হয়ে গেল। এরকমই একটি গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই গোপন ভিডিওর সূত্র ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের(Midnapore) ঘাটালের ২ বিজেপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এই ২ বিজেপি নেতার নাম বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং সৌমেন চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার সকালেই তৃণমূলের(TMC) তরফে অভিযোগ করা হয়, আরজিকর কান্ডকে হাতিয়ার করে নবান্ন অভিযানের(Nabanna Abhijan) নামে গুলি চালিয়ে খুনের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ‘একটা বড় চক্রান্ত চলছে কালকের অভিযানকে ঘিরে। বিজেপি শকুনের রাজনীতি করছে। ওরা বলছে, বডি চাই..( যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জি এন ই বাংলা) কুণাল তার বক্তব্যের সমর্থনে গোপন ভিডিওটি প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে বিভিন্ন ব্যক্তির মুখে শোনা যাচ্ছে, কেউ বলছেন, বডি চাই.. কেউ বলছেন, বডি পড়বেই, রবার বুলেট চলবে..
তৃণমূল নেতা কুণাল জানান, ‘ওই ভিডিওটি তাদের হাতে বিভিন্ন সূত্র মারফত এসেছে। প্রথম ভিডিওতে এক যুবককে দেখা গিয়েছে। তবে নেপথ্যে গলা শোনা যায় আরো দুজনের। নেপথ্যে যে গলা শোনা যাচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সে প্রশ্ন করছে,’ ২৭ তারিখের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হবে বলছেন। তা কি আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে’? জবাবে পর্দার অন্তরালে থাকা যুবককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘গুলি চলবে, এখানে রাবার বুলেট চলবে’। আবার পরের ভিডিওতে প্রথম ভিডিওটির কথাবার্তা ঘুরে ফিরে আসছে। সেখানে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘একটা দুটো বডি যদি না পড়ে, কিছুই হবে না।’
আর এরপরেই জানা গিয়েছে, পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূলের প্রকাশ্যে আনা ভিডিওতে ওই ২ বিজেপি নেতাকে দেখা গিয়েছে। এই দুই বিজেপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তার মধ্যে বাবলু ঘাটাল মহকুমার খরার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলর। আরেকজন এখনো পলাতক। তার নাম বিপ্লব মাল। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিজেপির মন্ডল সভাপতি। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ‘ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুজনকে আটক করা হয়েছে। একজন পলাতক। আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে।’
এই ঘটনার পরে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা এবং এডিজি (দক্ষিণ বঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। মনোজ বর্মা জানান, ‘যেহেতু অনুমতি নেওয়া হয়নি, তাই এই কর্মসূচি আইনত বৈধ নয়। কারণ নবান্ন সংরক্ষিত জায়গা। রাজ্যের প্রধান সচিবালয়। কোনো কর্মসূচি করার জন্য অনুমতি নিতে হয়। ফলে এটা বেআইনি। অন্য কোথাও জমায়েত করলে সাহায্য করবো। তবে নবান্নে নয়।’ এডিজি সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে যে অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে, এরকম কোনো সংগঠন নেই।’
আরও পড়ুনঃ সস্তায় ১ বছরের রিচার্জ প্ল্যান দিচ্ছে BSNL
তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির মুখপাত্র এবং রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘আন্দোলন গতি পাওয়ার ফলে তৃণমূল হতাশায় ভুগছে, তাই এই ধরনের আচরণ করছে’। তবে শাসক তৃণমূলের তরফে এই গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে আনার শোরগোলের মধ্যেই ঘাটালের বিজেপির দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জিএনই বাংলা)