আর জি কর(RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যসহ দেশ একেবারে উত্তাল। সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তৃণমূল সরকার যথেষ্ট বেকায়দায়। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যেকেই মমতার সরকার এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বহু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যে প্রশ্নের জবাব এখনো পর্যন্ত আদালতের কাছে তুলে ধরতে পারেনি রাজ্য সরকার। আর তারপর থেকেই বিক্ষোভ আন্দোলন আরো তীব্র গতিতে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। RG Kar Case মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পদত্যাগের জোরালো দাবি জানাচ্ছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এরকম একটা সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) ধর্ষণ নিয়ে কঠোর আইন আনার দাবি করে চিঠি লিখেছেন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘দেশে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা বাড়ছে। রোজ গড়ে ৯০ টি ধর্ষণের ঘটনা হচ্ছে। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল ঘটনা বন্ধ করার জন্য দ্রুত কড়া আইন আনার প্রয়োজন। ফাস্টট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়টিও আইনে রাখা হোক। ঘটনা ঘটার ১৫ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী’।
আরজি কর(RG Kar) হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ পাওয়ার পর থেকে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও কড়া প্রশ্নবানের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যকে। ক্রাইম সিন প্রটেক্ট করা থেকে শুরু করে ময়নাতদন্ত এবং এফআইআর দায়েরে দেরি করা, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি আরজি কর কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ, যাকে প্রতিদিন সিবিআই ম্যারাথন জেরা করছে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে মমতার সরকার, এমন অভিযোগে উঠে যাচ্ছে। আর তারপর থেকেই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের মুখে একটাই শব্দ- “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাই।”
আরও পড়ুনঃ ‘সুপ্রিম’ আপিলে ডাক্তারদের দেশব্যাপী ধর্মঘট শেষ, 11 দিন পর পরিষেবা হল স্বাভাবিক
যখন এরকম ভাবে সরকার একেবারে ব্যাকফুটে, বেশ কিছুদিন নীরব থাকার পরে হঠাৎ দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মুখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণ রুখতে কঠোর আইন আনার কথা বলে পোস্ট করেছেন তিনি। রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেন, যাতে ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন বলবৎ করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দেওয়া হয়। অভিষেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন আনতে হবে। যাতে ৫০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করে কঠোরতম সাজা দেওয়ার নিদান থাকবে।’ সেখানে তিনি দেশজুড়ে ধর্ষণের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন। তবে বেশ কিছুদিন নীরব থাকার পর ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেকের এই পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।