Mamata Banerjee: আরজি কর কাণ্ডের(RG kar case) প্রতিবাদে সারা দেশ উত্তাল। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ একযোগে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কঠোর শাস্তি চাইছেন অপরাধীদের। আর ঠিক সেই সময়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) মহিলা কর্মজীবীদের জন্য আরেকটি নতুন প্রকল্প চালু করলেন।
এর আগেও একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তার মধ্যে কোনো প্রকল্প চরম সফলতার মুখ দেখেছে। তো আবার কোনো প্রকল্প সার্বিকভাবে সফলতা পায়নি। তবে এবার আবার রাতে কর্মক্ষেত্রের দায়িত্বে থাকা এবং কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফেরা মহিলা কর্মজীবীদের জন্য এই “রাত্তিরের সাথী”(Night Companion) প্রকল্প চালু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এবার দেখে নেওয়া যাক, এই “রাত্তিরের সাথী” প্রকল্পে কি কি পরিষেবা পেতে পারেন কর্মজীবী মহিলারা অর্থাৎ চাকুরিজীবী মহিলারা?
যে সমস্ত মহিলারা নিয়মিত চাকরি করেন বা কর্ম করেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য রাতে কর্মস্থলে ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে মহিলা স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।
রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, হস্টেল সহ বিভিন্ন জায়গায় মহিলা চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা শৌচালয় আর বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চাকুরীজীবী মহিলাদের জন্য বিশেষ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হচ্ছে। যে অ্যাপ তার ফোনে ডাউনলোড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় থানার সরাসরি যোগাযোগ থাকবে। বিপদে পড়লে ওই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে থানায় বিশেষ বার্তা পাঠাতে পারবেন।
সমস্ত কর্মক্ষেত্র সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা ধরেই নজরদারি চলবে।
জেলা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রবেশের সময় প্রত্যেকেরই শ্বাস পরীক্ষা করা হবে। যাতে কেউ মদ্যপ আছেন কিনা তা দেখা হবে।
চাকুরিজীবী মহিলাদের জন্য ১০০ এবং ১০২ নম্বরের বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হচ্ছে।
মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নাইট ডিউটি বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহিলা চাকরিজীবীর সঙ্গে তার পরিচিত কোনো মহিলা সঙ্গিনীকে যাতে নাইট ডিউটি দেওয়া হয় তাতেই জোর দিতে বলা হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যৌন নির্যাতন রুখতে প্রতিটি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজ সহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বিশাখা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেমন- মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, মহিলা হস্টেলে পুলিশি পেট্রোলিং চলবে। পাশাপাশি প্রতিটি কর্মীকে গলায় সচিত্র আইডেন্টিটি কার্ড ঝোলাতে হবে। বিশেষ নিরাপত্তা আধিকারিক নিযুক্ত করা হবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নজরদারির জন্য। কোনো মহিলা চিকিৎসক বা কর্মীকে ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি দেওয়া যাবে না। পারলে মহিলাদের নাইট ডিউটি থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।