Lakshmir Bhandar Scheme: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘লক্ষ্মী ভান্ডার’ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী মহিলাদের জন্য সুখবর।
Lakshmir Bhandar Scheme: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণাটা কী?
৬০ বছর বয়সের পর যারা অটোমেটিকভাবে বার্ধক্য ভাতা পেতে শুরু করেন, তাঁদের জন্য আয়ের সীমা অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই পরিবর্তন রাজ্য জুড়ে অনেক মহিলাকে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আয়সীমা অপসারণ
বর্তমান ব্যবস্থায়, ‘বৃদ্ধাশ্রম পেনশন’ প্রকল্পের জন্য যোগ্য হতে হলে, সুবিধাভোগীর মাসিক আয় ১,০০০ টাকার নিচে হতে হত। তবে, এই নিয়ম পরিবর্তন হতে চলেছে। এই আয়ের সীমা অপসারণের জন্য ইতিমধ্যেই একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে এবং এটি রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদিত হলে, সরকার কর্তৃক আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা জারি করা হবে।
পরিবর্তনের প্রভাব
আয় সীমা অপসারণের ফলে বর্তমানে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের অংশ থাকা অনেক মহিলা উপকৃত হবেন। ৬০ বছর বয়সের পর ‘বৃদ্ধ ভাতা পেনশন’ প্রকল্পে রূপান্তরিত হলে এই মহিলাদের আর তাঁদের আয়ের স্তর নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এই পরিবর্তনের ফলে পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার মহিলার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে তাদের আয়ের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই পেনশন সুবিধা পাওয়া সহজ হবে।
Jhargram Tiger: ঝাড়গ্রামে বাঘিনী! ঘুম উড়েছে বন দফতর ও গ্রামবাসীদের
‘জয় বাংলা’ প্রকল্প
২০২০ সালে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘জয় বাংলা’ নামক একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মের অধীনে বেশ কয়েকটি বার্ধক্য পেনশন প্রকল্পকে একীভূত করে। তবে, ‘বৃদ্ধাশ্রম পেনশন’ প্রকল্পের জন্য আয়ের সর্বোচ্চ সীমা এখনও বহাল ছিল। বিপরীতে, ‘তফসিলি বন্ধু’ এবং ‘জয় জোহর’ প্রকল্প, যা তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য প্রযোজ্য, তাঁদের কোনও আয়ের সীমা নেই।
তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি মহিলাদের জন্য সুবিধা
‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের অংশ থাকা তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা ৬০ বছর বয়সে ‘তফসিলি বন্ধু’ বা ‘জয় জোহর’ প্রকল্পে অটোমেটিকভাবে স্থানান্তরিত হয়ে যান। এই প্রকল্পগুলির কোনও আয়ের সীমা নেই। সরকার এখন ‘বৃদ্ধ ভাতা পেনশন’ প্রকল্পের মহিলাদের জন্যও এই একই নিয়ম প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে।
মহিলাদের জন্য আর্থিক সুবিধা
আয়ের সীমা অপসারণের ফলে, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প থেকে ‘বৃদ্ধ ভাতা’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত মহিলারা আরও ভাল আর্থিক সহায়তা পাবেন। এই পরিবর্তনের ফলে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছানোর সাথে সাথে তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা উন্নত হবে।
