রাজীব ঘোষ: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের ঘোষণা করে একেবারে মাস্টার্সস্ট্রোক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ফলও হাতে নাতে পেয়েছেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তখন এই প্রকল্পে প্রতিমাসে মহিলাদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হতো। এই প্রকল্পটির নাম লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhander) জেনারেল কাস্ট এর মহিলারা পেতেন ৫০০ টাকা আর এস সি, এস টি মহিলারা পেতেন ১০০০ টাকা।
এরপর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাধারণ মহিলারা পাবেন ১ হাজার টাকা, আর এস সি, এস টি মহিলারা পাবেন ১২০০ টাকা করে। আর তাতেই একেবারে রাজ্যের রাজনৈতিক ছবিটা কিছুটা হলেও বদলে যায়। যেখানে বহু সমীক্ষক সংস্থা বলেছিল, পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হবে প্রথম রাজনৈতিক দল। সেখানে তাদেরকে একেবারে পর্যূদস্ত করে তৃণমূল ২৯ টি আসন দখল করে ফেলে। এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প শুধুমাত্র রাজ্যে বা দেশে নয় বিশ্বজুড়েও প্রশংসা পেয়েছে।
তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এমন একটি প্রকল্পের কথা বলা হবে, যেখানে লক্ষীর ভাণ্ডারকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে তার আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পটির নাম কিষান মানধন যোজনা (Kisan Mandhan Yojona) এটি একটি সঞ্চয় প্রকল্প। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি যে কোনো কৃষক এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৬০ বছর বয়সের পর তিনি প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। এই কিষাণ মানধন যোজনা প্রকল্পে যে টাকা জমা হবে সরকার সেটা ওই তহবিলে নির্দিষ্ট করে মজুদ রাখবে।
আরও পড়ুনঃ Krishak Bandhu: ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করলেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা, কীভাবে করবেন, দেখুন
বার্ধক্যের সময়ে এই কিষাণ মানধন যোজনা প্রকল্পের অধীনে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে সাহায্য দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। যদি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু হয়, তাহলে তিনি যে টাকা প্রতি মাসে পেতেন তার ৫০ শতাংশ তার স্ত্রীকে দেওয়া হবে। দেশজুড়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২০ লক্ষ কৃষক এই কিষান মানধন যোজনা প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত করেছেন।