আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে হামলার ষড়যন্ত্র নিয়ে ভাইরাল অডিও ক্লিপ মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল বাম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে(Left youth leader Kalatan Dasgupta)। কলকাতা হাইকোর্টের(Kolkata High court)বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে ওঠা এই মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই জামিন পেয়েছেন যুব নেতা কলতান। 500 টাকার বন্ড অনুযায়ী, জামিনের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে, সমগোত্রীয় মামলায় কোর্টের অর্ডার ছাড়া সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করা যাবে না। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে জামিনে মুক্ত হলেও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে কলতানের জেল মুক্তি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
আদালতের নির্দেশে মুক্ত কলতান
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুনানি পর্ব শেষে আদালতের নির্দেশে ছাড়া পেয়েছেন বাম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে হামলার ষড়যন্ত্রের অডিও ক্লিপ আগেই প্রকাশ করেছিল কুনাল ঘোষ। কুনালের প্রকাশ করা অডিও খতিয়ে দেখে কলতানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই বাম নেতার জামিনের অর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ওঠে মামলা। সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। দুপুরে শুনানি শুরু হয়ে 19 তারিখ সন্ধ্যায় কলতানের জামিনের রায় জানায় হাইকোর্ট। আর তা নিয়েই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুনাল।
কলতানের জামিনে বিস্ফোরক কুনাল
বাম নেতা কলতান দাশগুপ্তের জামিনের পরই X হ্যান্ডেলে এলো তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের নতুন পোস্ট। কলতানকে দেওয়া আদালতের জামিনের রায়কে নিশানা করে এদিন কুনাল ঘোষ লেখেন, জামিন হতেই পারে… তবে এ কথা প্রমাণিত যে ভাইরাল ফোন কলের অডিও ক্লিপ আসলে ফেক নয়। কারা যেনো বলেছিল এটা AI। এরপরই কুনাল বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার যে বড় চক্রান্ত করা হচ্ছিল তা আটকানো সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনা ঘটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর তার দায়ভার চাপানো হতো। তা আর হলো না। সবশেষে, কুণালের সংযোজন, সিপিএম নেতৃত্ব কী বলছে তা নিয়ে তিনি মাথা ঘামান না।
আরও পড়ুনঃ Viral Video: মহিলাদের উদ্দাম নৃত্য হোস্টেলে, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও দেখুন
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কুনালের প্রকাশ করা অডিও মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি ভরদ্বাজ একাধিক অভিযোগ এনে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারের দিকেই। এদিন বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, অডিও ক্লিপের পেনড্রাইভ যার কাছ থেকে পাওয়া গেলো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি কেন? একই সাথে এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। হামলার ছক কষা হচ্ছে এ কথা জানা সত্ত্বেও পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ নিলো না, কাউকে গ্রেফতার করা হলো না কেন? একই সঙ্গে কুনাল ঘোষের প্রসঙ্গে আদালতের প্রশ্ন, ষড়যন্ত্রের অডিও ক্লিপ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে কী ভাবে পৌঁছালো? সব মিলিয়ে কলতানের গ্রেফতারি মামলায় একাধিক বিষয় প্রসঙ্গে যথেষ্ট ধন্দে কলকাতা হাইকোর্ট।