Husband: বাংলাদেশি যুবকদের বাড়িতে ডেকে এনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করাতেন স্বামী, জল আদালতে গড়াতেই কাঠগড়ায় রাজ্য পুলিশ

Published On:

বিক্রম ব্যানার্জী: অভাবের তাড়নায় বাংলাদেশি পর-পুরুষদের সাথে স্ত্রীকে যৌন মিলনে বাধ্য করতেন স্বামী(Husband)। আপত্তি জানালে চলত নিদারুণ অত্যাচার। সম্প্রতি এমনই ভয়াবহ অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন হাওড়ার এক গৃহবধূ। সেই মামলায় এবার প্রশ্ন উঠল রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি নির্যাতিতার মামলাটি সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে হস্তান্তর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আদালতে নির্যাতিতার আইনজীবী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত স্বামী মাঝে মধ্যেই বাড়িতে বাংলাদেশি যুবকদের ডেকে আনতেন। এরপরই স্ত্রীকে তাঁদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন তিনি। মহিলা আপত্তি জানালে তাকে ঘরে আটকে রেখে নির্মম অত্যাচার চালাতেন পেশায় দর্জি অভিযুক্ত স্বামী। জানা গিয়েছে, নিজস্ব পেশায় রোজগার কম হওয়ায় প্রায়শই বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল তাঁর। অন্য পথে বাড়তি রোজগারের জন্য মহিলাকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতেন ওই ব্যক্তি।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশি যুবকদের সাথে স্ত্রীয়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রাখতেন অভিযুক্ত। এমনকি সকলের সামনে মহিলাকে জোরপূর্বক নগ্ন করে তাঁর ছবিও তুলতেন তিনি। স্বামীর কুকর্মের প্রতিবাদ জানাতে গেলে প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হতে হতো হাওড়ার ওই গৃহবধূকে। দীর্ঘদিন সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করার পর থানায় গিয়ে পুলিশকে সবকিছু খোলসা করে বলেন ওই মহিলা। তবে প্রথম দিকে মহিলার অভিযোগ পুলিশ কর্তাদের কাছে ধোপে টেকেনি। মহিলার অভিযোগকে একেবারে উড়িয়ে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। যে বিষয়টি আদালতে বিচারপতিদের নজরে আনেন নির্যাতিতার আইনজীবী। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে বিষয়টি লঘু করার ও উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন।

গোটা ঘটনা শোনার পর বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিষয়টি সামনে এনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। যদিও প্রাথমিক তদন্তে মহিলার অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তবে নির্যাতিতার আইনজীবী বারংবার পুলিশের তরফে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। জানা যায়, মহিলার অভিযোগের প্রায় 1 মাস পর পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সূত্র বলছে, গ্রেফতার হওয়ার আগেই ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলেছিলেন নির্যাতিতার স্বামী। এবার ফোনের সেইসব তথ্যই খুঁজে বের করতে চায় পুলিশ। যদিও পুলিশের তদন্তে একেবারেই খুশি নন বিচারপতি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র ভৎসনার পর নির্যাতিতার মামলাটি সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুনঃ উত্তেজনার মাঝেই সম্প্রীতির নজির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, সীমানা পেরিয়ে ওপারে ঢুকে পড়া গরু ফিরে পেলেন ভারতীয় মালিক