মুসলিম পরিবারে বেশি জন্মহার এবং সেই কারণেই মালদহ ও মুর্শিদাবাদে জনবিন্যাস বদল হতে পারে, এমনই মত পোষণ করেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। মালদহ ও মুর্শিদাবাদে জনবিন্যাস বদলে অনুপ্রবেশ তত্ত্বকে খারিজ করতে গিয়ে মুসলিমদের জন্মহারের প্রসঙ্গ তুললেন তিনি (Humayun Kabir)। তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
সম্প্রতি অনুপ্রবেশের কারণে জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সেই জন্য বিহারের তিন জেলা কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া ও কাটিহারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদকে জুড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার দাবি সংসদে জানিয়েছিলেন গোড্ডার বিজেপি সাংসদ। তাঁর এই দাবিকে সমর্থন করেছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। এর পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। সেই বিতর্ক নিয়েই মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্ক আরও বৃদ্ধি করলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
হুমায়ুন বলেন, ‘‘কোটিতে এক-দু’জন অনুপ্রবেশ করে থাকতে পারেন। কিন্তু আমরা যাঁরা মালদহ-মুর্শিদাবাদে সক্রিয় রাজনীতি করি, তাঁরা এ রকম কোনও মানুষকে পাইনি। জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে অন্য কারণে। বিবাহিত মুসলিম মহিলাদের মাত্র ১০ শতাংশ চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা সন্তান প্রসব করেন। সিজ়ার করানো হয়। বাকি ৯০ শতাংশ মুসলিম মহিলা এখনও বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন। তাঁদের কারও চারটে, কারও পাঁচটা, কারও আবার ছ’টা করে সন্তান হয়!’’ এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ এতদিন মুসলিম পরিবারে জন্মহার বেশি হওয়া প্রসঙ্গ তুলতেন বিজেপি নেতানেত্রীরা। এবার তৃণমূল বিধায়কের মুখেই এহেন মন্তব্যে তৃণমূল শিবিরের দিকে কটাক্ষ হানছেন বিজেপি নেতৃত্ব।