রাজ্যের প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের জন্যই বিভিন্ন ধরনের সামাজিক প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই প্রকল্পের (Government Scheme) মাধ্যমে বাংলার যুবক, কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে মহিলারা উপকৃত হচ্ছেন। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দুর্দান্ত একটি প্রকল্প যা মমতা সরকারের তরফে একুশের বিধানসভার পরেই চালু করা হয়েছে তা হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার। এর মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় সমস্ত মহিলাই প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা এবং ১২০০ টাকা করে নিয়ম অনুযায়ী পেয়ে থাকেন।
এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার(WB Government) শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য নির্ধারণ করে নয়, পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সকলের জন্যই এমন একটি প্রকল্প নিয়ে এসেছে, যার মাধ্যমে এককালীন ৫ হাজার টাকা পাশাপাশি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য এবং অন্যান্য অনেক সুবিধা পেতে চলেছেন। রাজ্যের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের তাঁত শিল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনো রকম সাহায্য করেনি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার এবার তাঁত শিল্পী এবং তন্তু ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
রাজ্যের তাঁত শিল্পীদের(Weaver’s Allowance) সাহায্য করার জন্য এবং তাঁত শিল্পকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য রাজ্য সরকার এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁত শিল্পীদের আর্থিক সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁত শিল্পীদের(Weaver’s Allowance) কো-অপারেটিভ থেকে নেওয়া এককালীন ঋণ মুকুব করার সুযোগ দেওয়া হবে। এককালীন ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি তাঁত ঘর মেরামতি এবং পরিকাঠামোগত সংস্কার থেকে শুরু করে সরঞ্জাম কেনার জন্য এককালীন ৫০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, কোনো তাঁত শিল্পীর( Weaver’s Allowance) ৬০ বছরের কম বয়সে মৃত্যু হলে তার পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
এই সুবিধা পাওয়ার জন্য যে সমস্ত সাধারণ পরিচয় পত্র সকলের থাকে, আধার কার্ড, প্যান কার্ড দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে ফিলাপ করে পূরণ করতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে সমস্ত হ্যান্ডলুম অফিস আছে, সেখানে আবেদন পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের তাঁত শিল্পের যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা শান্তিপুর, সেখানেও তাঁত শিল্পীদের জন্য আবেদন পত্র দেওয়া হচ্ছে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত যে সমস্ত তন্তুজীবীরা এই আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে নিজেদের তাঁত শিল্প এবং ব্যবসাটি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তারা অবিলম্বে এই আবেদন পত্র সংগ্রহ করে রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন।