অভিজিৎ বেরা: ভোট আসে ভোট যায়, দেশের উন্নয়নে তৈরি হয় বাজেট, নিজেদের এলাকার মানুষের কথা, এলাকার মানুষের সুবিধার্থে উন্নয়নের কথা দেশের সামনে তুলে ধরেন নির্বাচিত সাংসদ প্রতিনিধিরা, আর এটাই সংসদীয় গনতন্ত্রের একটি স্বাভাবিক বিষয়। সংসদীয় গনতন্ত্রের ঠিক এই পথ ধরেই এভাবেই ঠান্ডাঘরে থাকা রেলপথের কথা সংসদে বললেন সায়নী ও মিতালি। তবে একই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম-লালগড়-ঘাটাল কিংবা পাঁশকুড়া-ঘাটাল রেলপথের কথা বলতে শোনা গেলনা সংসদীয় এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে।
আরও পড়ুনঃ গভীর সংকটে পশ্চিম মেদিনীপুর! নাবালিকাদের নিয়ে বাড়ছে সমস্যা
সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে যাদবপুর কেন্দ্রের নির্বাচিত প্রতিনিধি সায়নী ঘোষকে ২০১১-১২ সালে রেল বাজেটে নিউ গড়িয়া থেকে বারুইপুর পর্যন্ত যে মেট্রো সম্প্রসারণের কথা বলা হয়েছিল তা এখনও কোন অগ্রগতি হয়নি বলে সরব হতে দেখা গেল।
অন্যদিকে আরামবাগের নির্বাচিত প্রতিনিধি মিতালি কে বলতে শোনা যায় ১৩ বছর আগে মঞ্জুর হওয়া আরামবাগ-বিষ্ণুপুর রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ এখনও এগোয়নি বলে।
তারা দুজনেই তাদের সংসদীয় এলাকার দাবি দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরলেন। যা স্বাভাবিক ব্যাপার।
কিন্তু ঠিক একই বিষয়ে ঠান্ডাঘরে থাকা এই রাজ্যের অপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ নিয়ে হুঁশ নেই কারও। একটি ঝাড়গ্রাম-লালগড়-ভাদুতলা ও অপরটি পাঁশকুড়া-ঘাটাল।
শেষ ২০১৪ সালে ঝাড়গ্রাম-লালগড়-ভাদুতলা রেলপথের জন্য বাজেটে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল ( প্রকল্প ব্যয় যেখানে আনুমানিক ২৮৮ কোটি টাকা) কিন্তু কাজ কতদূর এগিয়েছে বলা মুশকিল।
আরও পড়ুনঃ সেক্স করলে তবেই খাবার! অসহায় নারীদের কান্না আকাশে বাতাসে
অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম-লালগড়-ভাদুতলা এর মতোই মমতা বন্দ্যোপাধায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তিনিই রেল বাজেটে পাঁশকুড়া থেকে ঘাটাল পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেলপথের বিষয়টি উত্থাপিত করেন, পরে শেষ বারের মতো ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেল বাজেটে পাঁশকুড়া-ঘাটালের পরিবর্তে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু আরামবাগ-ইড়পালা নতুন লাইন নির্মাণের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে মাপজোক, জমি জরিপের কাজও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তারপর থেকে ঐ রেলপথের কাজও ঝাড়গ্রাম-লালগড়-ভাদুতলার মতোই ঠান্ডা ঘরে চলে যায়।
তবে সংসদে সায়নী ও মিতালির ঠান্ডা ঘরে থাকা মেট্রো ও রেল লাইন সম্প্রসারণের বক্তব্যকে দেশের সামনে তুলে ধরায় পুনরায় আশায় বুক বাঁধছেন লালগড় ও ঘাটালের জনগণ। কিন্তু এই এলাকার উন্নয়নে ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বার্থে রেল পথের কথা আদৌ কী তুলে ধরবেন তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা?