আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে গোটা রাজ্যে। গোটা দেশের সঙ্গে বিদেশেও এই নারকীয় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। তবে এরইমধ্যে একটি রিপোর্ট ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, মহিলাদের উপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে খুব একটা পিছিয়ে নেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও। জানা গেছে, সমগ্র দেশে ১৫১ জন সাংসদ এবং। বিধায়কের বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর বিভিন্ন অত্যাচারের ঘটনা নথিবদ্ধ আছে। সবথেকে বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিজেপি নেতাদের নামে। শুধু মহিলাদের উপর অত্যাচার নয়, রয়েছে ধর্ষণের অভিযোগও।
আরও পড়ুনঃ আর জি করের চার শীর্ষকর্তাকে অপসারণ, লাগাতার আন্দোলনের চাপেই নতিস্বীকার রাজ্যের?
হাথরাস, উন্নাও অথবা কামদুনি কিংবা আর জি করের ঘটনায় যখন গোটা দেশের নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে তখন এই রিপোর্ট কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। কারণ দলগত হিসেবে বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি মামলা দায়ের হলেও, মহিলাদের উপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে রাজ্যগতভাবে শীর্ষে আছে পশ্চিমবঙ্গ।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিসার্চের পক্ষ থেকে করা একটি সমীক্ষায় এই তথ্য সম্প্রতি উঠে এসেছে। তাদের দেওয়া রিপোর্টে আরও জানা গেছে, বিজেপি এবং কংগ্রেসের পাঁচজন করে সাংসদের বিরুদ্ধে আছে ধর্ষণের অভিযোগ।
বাংলার দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও আছে ধর্ষণের মামলা। একজন সৌমিত্র খাঁ দ্বিতীয়জন হামিদুল রহমান। রাজ্যে নারী নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠলেই তৃণমূল সাফাই দেয় দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর হল কলকাতা। অথচ সেই দলেরই বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের তথ্য সামনে আসতেই দৃশ্যতই অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল। ঠিক একইভাবে নারী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিজেপির ভূমিকাও আতশকাচের তলায়।
আরও পড়ুনঃ“যদি এতই লালসা থাকে আমাদের কাছে আসুন”, ধর্ষকদের উদ্দেশ্যে যৌনকর্মীর কথা ভাইরাল
আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন এবং মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের স্মৃতি এখনও টাটকা। এরমধ্যেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত এই রিপোর্টের পর কী মহিলারা নিজেদের আদৌ নিরাপদ ভাবতে পারবেন? উঠছে প্রশ্ন।