Mid Day Meal: আর পাতে পড়বে না ডিম! অগ্নিমূল্য বাজারের কোপ কচিকাঁচারের মিডডে মিলেও

Published On:

বিক্রম ব্যানার্জী: জানলে অবাক হবেন সমাজের একটা বড় অংশের পড়ুয়ার দুপুরের খাবারের ঠিকানা স্কুলের মিডডে মিল(Mid-day Meal)। ছোট বয়সে স্কুলের প্রতি তেমন আগ্রহ না থাকলেও পেটের টান বলে দেয় প্রতিদিন সেখানে হাজির হওয়ার কথা। কারও কাছে খিচুড়ি স্কুল, কারও কাছে আবার পেটের জ্বালা নিবারণের ঠিকানা হিসেবে পরিচিত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মিডডে মিল(Mid Day Meal) স্কুল গুলি। এবার সেই স্কুলেও অগ্নিমূল্য বাজারের কোপ পড়ল! শীত পড়তে না পড়তেই বাজারে সবজির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সেই সাথে দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, ডিম থেকে শুরু করে যাবতীয় খাদ্য সামগ্রীর। আর সেই মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে চলেছে কচিকাঁচাদের পাতেও।

সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনের মিডডে মিল অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে পড়ুয়াদের কাছে। কেননা এদিন ভাত, ডাল এবং সবজির সাথে পাতে পড়ে ডিম। তবে যে হারে সবজি থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ছে তাতে পড়ুয়াদের পাতে ডিম তুলে দেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। বাজারদর অনুযায়ী একটি ডিমের দাম বর্তমানে 7-8 টাকা। কাজেই দিনের পর দিন বাজার অগ্নিমূল্য হয়ে উঠলে মিডডে মিলের থালায় কোপ পড়তে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞেরই ধারণা অতিরিক্ত দামের কারণে পাতে ভাত সহযোগে অন্যান্য তরি-তরকারি থাকলেও পুষ্টিকর ডিমের দেখা নাও মিলতে পারে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তবেই সেই পরিমাণ একেবারেই কম। শেষ বারের মত প্রি-প্রাইমারি থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মিড ডে মিলের বরাদ্দ ছিল 5 টাকা 45 পয়সা। বর্তমানে তা মাত্র 75 পয়সা বেড়ে 6 টাকা 19 পয়সায় দাঁড়িয়েছে। একইভাবে এর আগে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের বরাদ্দ ছিল 8 টাকা 17 পয়সা। চলতি বছর তা 1 টাকা 12 পয়সা বাড়িয়ে 9 টাকা 29 পয়সা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রিসর্টে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বাস, নিহিত 2