চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Dilip Ghosh: বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রশ্নের মুখে বঙ্গ বিজেপির ‘পারফরম্যান্স’! রাজ্যে বিজেপির (BJP) সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অমিত শাহের (Amit Shah) দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব (BJP)। বৃহস্পতিবার সল্টলেকের এক পাঁচতারা হোটলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, সেখানেই বঙ্গ বিজেপির নেতারা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে তালিকায় ব্যতিক্রম দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নভেম্বর মাস থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে তিনি ৮৪টি সদস্য সংগ্রহ বৈঠক করে করে ফেলেছেন। ডিসেম্বরের শেষে তা পৌঁছে যাবে ১০০ তে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পৃথক বৈঠক করেন দিলীপের সঙ্গে। যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, এই বৈঠক বঙ্গ বিজেপিতে অন্য রকম সমীকরণের ইঙ্গিত হতে পারে।
রাজ্যের প্রতিটি বুথে ২০০ জন সদস্য নথিভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন অমিত শাহ। মোট লক্ষ্য ছিল ১ কোটি সদস্য। কিন্তু তা ২২ লক্ষ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে। এমনকি পুরাতন সক্রিয় ১০ লক্ষ সদস্যপদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুর্নবীকরণ হয়নি বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্য বিজেপির নেতারা। অন্যদিকে এরই মধ্যে ব্যতিক্রম দিলীপ ঘোষ। নভেম্বর মাস থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে তিনি ৮৪টি সদস্য সংগ্রহ বৈঠক করে করে ফেলেছেন। ডিসেম্বরের শেষে তা পৌঁছে যাবে সেঞ্চুরি সংখ্যায়৷ গত একমাসে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গ সর্বত্র চষে বেড়িয়েছেন সংগঠক দিলীপ। যা প্রশংসার চোখে দেখছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার দিলীপের সঙ্গে পৃথক ঘরে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে ও অমিত মালব্য। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।

বিজেপির সদস্য অভিযান
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রকৃত উত্থান দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই। তিনি রাজ্য সভাপতি থাকাকালীনই ১৮টি লোকসভা আসনে জয় পায় বিজেপি। বর্তমানে দিলীপ ঘোষ সাংসদ নন। নেই দলের কোনও বড় পদেও। তারপরেও তাঁর কর্মকুশলতা নজর এড়াচ্ছেনা কারও। দলের একাংশের অভিমত, সাম্প্রতিক একের পর এক নির্বাচনে যেখানে রাজ্যে ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি, সেখানে দলকে পুনরায় জয়ের সরণীতে ফিরিয়ে আনতে দিলীপের উপরেই ভরসা রাখতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। অন্যদিকে এই সমস্ত গুঞ্জন নিয়ে হেলদোল নেই খোদ দিলীপের। দলের নেতৃত্বের প্রশংসার তিনি খুশি একথা জানিয়েও দলের পুরাতন সেনাপতি স্পষ্ট করেছেন, তিনি সংগঠনের লোক এবং দলের দেওয়া দায়িত্ব সবসময়েই পালনে সচেষ্ট। এখন দেখার দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বঙ্গ-বিজেপিতে ফের আদি-বিজেপির উত্থান ঘটে কিনা!