Darjeeling weather is very hot: তীব্র গরমে ফুঁসছে পাহাড়ের রানী দার্জিলিং(Darjeeling weather is very hot)। একটানা বৃষ্টির জেরে বুধবার থেকেই বানভাসী হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভিন্ন চিত্র চোখে পড়লো দার্জিলিঙয়ে। চলতি মাসে গত কয়েকদিন ধরে দহনজ্বালায় পুড়ছে উত্তরবঙ্গ। এদিকে গতকালই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের গ্রীষ্মকালীন রেকর্ড ভেঙেছে দার্জিলিংয়ের বর্তমান আবহাওয়া। কাজেই দুর্গা পূজার(Durga Puja) আগে প্রচন্ড গরমে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে এই শৈল শহর।
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা দার্জিলিংয়ে
নিত্যদিনের একঘেয়ে কর্মজীবন থেকে বেরিয়ে সাময়িক স্বস্তিতে একটু ঠাণ্ডার খোঁজে সারা বছর দার্জিলিঙয়ে ভিড় জমান দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। নানান ধর্মের মানুষের ভিড়ে সব সময় গমগম করতে থাকা শৈল শহরের বর্তমান ছবিটা একটু অন্যরকম। দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র গরমে পুড়ছে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। যেই তালিকায় নাম রয়েছে শৈল শহর দার্জিলিংয়েরও।
শনিবার আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, 1973 সালের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে দার্জিলিং শহরের 3 সেপ্টেম্বরের তাপমাত্রা। এদিন শহর জুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 27.5 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। শনিবার সেই রেকর্ড ভেঙে 28.2 সেন্টিগ্রেডে পৌঁছে যায় তাপমাত্রা। 1970 সালের 21 আগস্টের তাপমাত্রা 28.5 যা দার্জিলিংয়ের সর্বকালীন রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত এই রেকর্ড না ভাঙলেও অধিকাংশেরই আশঙ্কা যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি সেই রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলবে শৈলরানী দার্জিলিং।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক পাসে সাড়ে ৩ হাজার চাকরি রেলে, আবেদন করবেন কিভাবে?
উল্লেখ্য, দার্জিলিং ছাড়াও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। ফলে অস্বাভাবিক গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা স্থানীয় মানুষজনের। যদিও শনিবার পাহাড়ের কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়েছে। তবে তাতে আবহাওয়ার বিশেষ বদল চোখে পড়েনি। তীব্র গরমে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা যেমন ফিরে আসছেন। একই ভাবে দহনজ্বালার খবর পেতেই ম্যাল, টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ সহ বিভিন্ন এলাকা এখন পর্যটক শূন্য। তবে সোমবার থেকে অবস্থার উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়া দফতরের কেন্দ্রীয় অধিকর্তারা।