ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal) বাংলাদেশ ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল রবিবার রাতে। রবিবার রাত থেকে সোমবার সারাদিন তান্ডব চালানোর পর ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। রেমাল রবিবার সন্ধ্যার পর ক্রমশ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
বাংলাদেশে অবস্থান রেমালের
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার রাতে স্থলভাগে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। গত ছয় ঘন্টায় আট কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ধরে ক্রমে উত্তর দিকে এগিয়েছে সেটি। শেষ পাওয়া খবরে, স্থলভাগের উপর পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন বাংলাদেশে এখন সেটি অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মোংলা থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব, ক্যানিং থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পূর্ব এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছে রেমাল।
আরও পড়ুনঃ আজকের রাশিফল ২৭/৫/২০২৪
রাজ্যে মৃত্যু ৬ জনের, ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
রেমালের প্রভাবে রবিবার সারারাত দুর্যোগ চলেছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। সোমবার সকালেও তা অব্যাহত ছিল। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বর্ষণ হয়েছে। ব্যহত হয়েছে ট্রেন, মেট্রো, বাস প্রভৃতি যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার রাতে কলকাতার এন্টালিতে কার্ণিশ ভেঙে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগণার মৌসুনি দ্বীপে গাছ ভেঙে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর মিলেছে। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে কলাগাছে জড়ানো তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বাবা এবং ছেলের। মহেশতলায় জমা জলে তড়িতাহত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ইতিমধ্যে রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে জারি থাকবে বর্ষণ। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।