RG Kar: প্রথমে লোকসভা নির্বাচন, তারপর বিধানসভা উপনির্বাচন। দুই ক্ষেত্রেই ভরাডুবি হয়েছে বাম প্রার্থীদের। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে জামানত জব্দ হয়েছে তাদের। এই অবস্থায় পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে কল্যাণীতে রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন ডেকেছিল বাম নেতৃত্ব। কিন্তু আর জি কর(RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে সেই অধিবেশন আপাতত বাতিল করছে বাম নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে বাম নেতা – নেত্রীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্তমানে বৈঠকের চেয়েও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা বেশি জরুরি। সেই কারণেই বাতিল করা হয়েছে বর্ধিত অধিবেশন।
কিছুদিন আগেই সিপিএমের(CPM) কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি বৈঠকে বসে। সেখানেই কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় সিপিএমের ভরাডুবির বেশকিছু কারণ চিহ্নিত করেন। সেইসমস্ত বিষয়েও আলোচনা হতো এই অধিবেশনে। কিন্তু সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে, আর জি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনা এবং তাকে কেন্দ্র করে জনমানসে যেভাবে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে তা অভাবনীয়। তাদের দাবি, RG Kar হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ বাম নেতা – কর্মীরা যেভাবে পুলিশকে তড়িঘড়ি মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে আর জি কর হাসপাতালে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাকে তারা যেভাবে রুখে দিয়েছেন তা সাধারণ মানুষের মনে ছাপ ফেলতে পেরেছে। ফলে আর জি করকে কেন্দ্র করেই আবার নতুনভাবে আন্দোলন শুরু করার ভাবনাচিন্তা করছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ ফের হাতির হানায় মৃত্যু, পাঁচ ঘন্টা দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, আর জি করের(RG Kar)ঘটনার পর বাম নেতাকর্মীরা পুরোদমে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সাত নেতা-কর্মীর নামে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে, এমন সময় যদি তিনদিন ধরে বাম নেতা – কর্মীরা বৈঠকে ব্যস্ত থাকেন তবে আন্দোলনের ক্ষেত্রে তাদের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সেই কারণেই আপাতত ঠিক হয়েছে তিনদিনে নয়, আগামী ২৩ তারিখ একদিনেই হবে রাজ্য কমিটির বৈঠক।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘গোটা রাজ্যে যেভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেখানে নেতা-কর্মীদের বৈঠকে আটকে রাখা ঠিক নয়। সুতরাং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভার পর একদিনেই হবে রাজ্য কমিটির অধিবেশন।’