আর জি কর কাণ্ডের(RG kar Case) পরে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়িয়েছিল সিপিএম(CPIM)। আর জি কর কাণ্ডের(RG kar Case) পর জুনিয়র চিকিৎসকরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলন পতাকাবিহীন হলেও সিপিএম(CPIM) নেতৃত্বের উপস্থিতি নজরে পড়েছিল। দলের তরফেও আর জি কর কাণ্ডের(RG kar Case) প্রতিবাদে দুবার লালবাজার অভিযান করেছিল সিপিএম(CPIM)। মোট কথা আর জি কর কাণ্ডের(RG kar Case) প্রতিবাদে সিপিএম(CPIM) নেতৃত্ব ছিল সামনের সারিতে। পুজোর মরশুমে বামেদের কর্মসূচিতে কিছুটা ভাটা পড়লেও আর জি কর কাণ্ডকে(RG kar Case) হাতিয়ার করে ফের রাস্তায় নামছে তারা। আজ বামেদের(CPIM) তরফে সিবিআই দফতর অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সিপিএম(CPIM) নেতৃত্বের বক্তব্য, আর জি কর কাণ্ডের(RG kar Case) তদন্ত নিয়ে সিবিআই যেভাবে গড়িমসি করছে তাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর ভরসা হারাতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই কারণেই সিবিআইয়ের কাছে এই গড়িমসির জবাব চাইতেই বিধাননগরে সিবিআই কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছে সিপিএম(CPIM) নেতৃত্ব। মিছিলে হাঁটবেন সিপিএমের(CPIM) রাজ্য নেতৃত্বও।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘ প্রথম থেকেই আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে অনড় ছিলাম। কিন্তু আর জি করে নির্যাতিতার বাবা – মা যেহেতু সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন তাই আমরা আপত্তি করিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি নিজেদের কর্মদক্ষতার উপর ভরসা হারিয়ে রাজনৈতিক নির্দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে তবে প্রতিবাদ প্রয়োজন। আর জি কর কাণ্ডের ১০০ দিন অতিক্রান্ত। সিবিআইয়ের কাছে আমরা জবাব চাইছি আর কতদিন সময় লাগবে আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করতে।’
সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে সিবিআই চার্জশিটে সঞ্জয় রায়ের নাম দিলেও একা তার পক্ষে এতবড় কাণ্ড ঘটানো অসম্ভব। সেই কারণেই সিবিআই দফতর অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। তবে এরমধ্যেই বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় এসে গিয়েছে। আর জি করের ঘটনাকে হাতিয়ার করে সিপিএম যেভাবে আন্দোলনের রাস্তায় হেঁটেছে তাতে উপনির্বাচনের ফলে কোন প্রভাব পড়ে কিনা সেটাই দেখার।