অবশেষে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সাসপেন্ড করল। সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে সাসপেন্ড করলো রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। আরজি করে গত ৯ আগস্ট মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর টানা ১৫ দিন ধরে CBI অফিসে যাওয়া আসা করছিল সন্দীপ।
আরও পড়ুনঃ দলত্যাগ বিরোধী আইনে পঞ্চায়েতের সদস্য পদ খারিজ, পদ খোলালেন প্রধান
আর তার এই নিয়মিত সকালে যাওয়া এবং সন্ধ্যেবেলায় ঘুরে আসা নিয়ে অনেকের মনের মধ্যেই প্রশ্ন জেগে উঠেছিল। তবে তার জবাব ইতিমধ্যেই তারা পেয়েও গিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যেবেলায় সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। যে সময় আরজি কর হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল, সেই সময় প্রিন্সিপাল ছিলেন সন্দীপ ঘোষ।
তারপর একের পর এক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এর পরেই সিবিআই এর হাতে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায়। জোরকদমে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। সন্দীপের বিরুদ্ধে জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুধু তাই নয়, বাংলার আমজনতাও সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তবে তখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুনঃ এই উৎসবে হয় কেঁচো সংগ্রহ, অদ্ভুত ৪ উৎসব নিয়ে জানুন
সন্দীপ চাপে পড়ে নিজে ইস্তফা দিলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য সরকার আবার তাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ করে। সেখানেও বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। তারপর কলকাতা হাইকোর্ট সন্দীপকে লম্বা ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে সিবিআই এর দল হানা দেয়। সেদিন তাকে বাড়িতেই জেরা করে সিবিআই অফিসাররা। বহু আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে সন্দীপের বিরুদ্ধে। এবার দেখা গেল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, সন্দীপের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার তদন্তের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিবিআই গ্রেপ্তার করার ২৪ ঘন্টা পরে সন্দীপকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।