বিক্রম ব্যানার্জী: মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ব্যাঘ্র প্রকল্পের জন্য সারা বছরই পর্যটকদের কৌতূহলের ঝুলিতে জায়গা করে নেয় বক্সা(Buxa)। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে শীতকালে পশ্চিমবঙ্গের এই সৌন্দর্যে অপরূপা পর্যটন কেন্দ্রটিতে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে বক্সায় চলছে পর্যটন মরসুম, বহু পর্যটক এক অজানা অনাবিল আকর্ষণে ছুটে গিয়েছেন সেখানে। আর সেই মোক্ষম সময়েই বক্সার সমস্ত হোটেল, রিসর্ট এবং হোম স্টে বন্ধের নির্দেশ দিল আদালত। যা অন্তত ভারতীয় পর্যটকদের জন্য অভিশাপসম।
চলতি বছর শেষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলো বক্সা প্রেমী মানুষ তথা পর্যটকদের। আদালতের কড়া নির্দেশে ব্যবসা বন্ধের আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে হোটেল ব্যবসায়ীদেরও। সূত্রের খবর, মূলত পরিবেশবিধি মেনে বক্সা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগার বা পর্যটন কেন্দ্রটিতে সমস্ত হোটেল ও রিসর্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। যদিও বক্সাকে ঘিরে ব্যবসায়িক স্বার্থে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন হোটেল ও হোম স্টে গুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বহু আগেই। 2022 সালে গ্রিন ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে এই কড়া নির্দেশ পেয়েছিলেন বক্সার হোটেল মালিকরা। তবে নির্দেশে কর্ণপাত না করায় মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে।
আদালতের তরফে বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। এরপর থেকে বহুবার ধাপে ধাপে স্থগিতাদেশের সময়সীমা বেড়েছে। তবে চলতি বছর অর্থাৎ 2024 সালের অন্তিম লগ্নে পৌঁছে বক্সা প্রকল্প ঘিরে নয়া নির্দেশ জারি করল আদালত। এখনও পর্যন্ত যা খবর, কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের তরফে স্থগিতাদেশের মেয়াদ না বাড়িয়ে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বক্সার বিভিন্ন হোটেল মালিক থেকে শুরু করে হোমস্টে কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যেই খবর সামনে আসতেই মন ভার হয়ে এসেছে বহু বক্সামুখী পর্যটকের।
আরও পড়ুন: তপসিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই কয়েকশো ঝুপড়ি
