Britannia Kolkata Taratala factory: ধ্বংসের মুখে বাংলার শিল্প, বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহ্য প্রাচীন তারাতলার ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রি

Last Updated:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

বাংলায় কর্মসংস্থানের কোন দিশা নেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বারে বারে বিরোধীদের। এমনকি সাধারণ মানুষেরও একই অভিযোগ। এর মধ্যেই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত আবার কিছু কিছু চালু কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাঙালির বহু আবেগের সাথে জড়িয়ে থাকা ব্রিটানিয়া বিস্কুট কোম্পানির তারাতলা (Britannia Kolkata Taratala factory) কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হল।

বাংলার শিল্প মহলে এটা অশনি সংকেত বলে মনে করছেন তথ্য বিজ্ঞ মহল।কলকাতায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিল ব্রিটানিয়া কোম্পানি। একটা সময়ে বাজারে বিস্কুট বলতে ব্রিটানিয়া বিস্কুটের নাম সবার আগে আসত। বাংলায় বিস্কুটের স্বাদ ও আবেগের সাথে জড়িয়ে ছিল ‘দাদু খায়, নাতি খায়…এই ক্যাপশন। আর সেই আবেগে আঘাত পরল সোমবার। এদিন কর্মীরা কাজে গিয়ে হঠাৎ করেই কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান। আর এতেই কর্মচারীদের মাথায় হাত।

আরও পড়ুনঃ প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ ‘রামায়ণ’-এর পুরোহিত, কী হল সোনাক্ষী-ইকবালের বিয়েতে?

জানা গেছে কারখানায় স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন।অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। স্থায়ী কর্মীদের এককালীন ক্ষতিপূরণ দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। এই কোম্পানিতে আড়াই হাজার টন বিস্কুট উৎপাদন হত প্রতিবছর। যদিও কোম্পানির তরফ থেকে কারখানা বন্ধের কারণ স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। কোম্পানিতে যাঁরা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছে তাঁদেরকে এক কালীন ২২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

ছ থেকে দশ বছরের নীচে যারা চাকরি করেছে, তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু ২০০৪ সাল থেকে কাজ করা অস্থায়ী কর্মীদের কোন টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি, বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন,” এ রাজ্যে এটা নতুন কিছু নয়। আগামী দিনে আরও কারখানা বন্ধ হবে , আর আসবেও না।

যে দল তোলাবাজি করে, সেই দলের আমলে কখনই শিল্প আসবে না।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলার শিল্পে এটা এক বিরাট ধাক্কা। এই প্রসঙ্গ এর আগেও বিধানসভায় উঠেছে, চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। শিল্পকে বাঁচানোর কোনও আগ্রহ নেই মমতার। বাঙালির আবেগের ব্রিটানিয়া বন্ধ হয়ে গেল।”