বিক্রম ব্যানার্জী: বাংলাদেশ জুড়ে চলছে ভারত বিদ্বেষী হাওয়া। ওপার বাংলার রাজপথে শয়ে শয়ে মানুষ পা বাড়াচ্ছেন ভারত বিরোধী মিছিলে। ভারতীয় পণ্য বয়কট করুন! কানে আসছে এমন নানা স্লোগান। এহেন উত্তপ্ত আবহে স্ত্রীয়ের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে বিদ্বেষে নতুন পালক যোগ করেছিলেন বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রাহুল কবীর রিজভি(Ruhul Kabir Rizvi)। শাড়ির পর মঙ্গলবার ভারতীয় বেডশিট পোড়ানোর কর্মসূচি আয়োজন করে প্রতিবেশী দেশের বিরোধিতায় অটল থাকলেন তিনি(Ruhul Kabir Rizvi)।
মঙ্গলবার দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে রাজস্থান থেকে কেনা বেডশিট পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানালেন বিএনপি নেতা। এদিন ভারতীয় বেডশিট ধ্বংস কর্মসূচি আয়জনের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশকে কড়া জবাব দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। বিএনপি নেতা জানান, ভারতের জয়পুর, রাজস্থানের রাজধানী, সেই জয়পুর টেক্সটাইল থেকে কেনা একটি বেডশিট.. ভারতীয় অগ্রাসন, সেই অগ্রাসনের প্রতিবাদে আমরা এই বেডশিট এখানে নিক্ষেপ করছি।
ভারতীয় পণ্য বর্জনের লক্ষ্যে এই মন্তব্য করেই বেডশিটটিকে নিচে ফেলে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। চারিদিক থেকে ভেসে আসতে শুরু করে সমর্থকদের গলা ফাটানো ভারত বিরোধী স্লোগান। বাংলাদেশি নেতার এহেন কর্মকাণ্ডের কড়া জবাব দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বুক চিতিয়ে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রাহুল রিজভিকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে সম্বোধন করেন তিনি।
ওপার বাংলার নেতাকে সরাসরি কটাক্ষের পরই শুভেন্দু বলেন, স্ত্রীর শাড়ি পোড়াচ্ছেন। তবে বউয়ের শাড়ি পোড়ানোর আগে কলকাতা থেকে হার্টে যে রিংটা বসিয়ে নিয়ে গেছেন সাহস থাকলে সেটা খুলে ফেলে দিয়ে দেখান। সেই ক্ষমতা বিএনপি নেতার নেই বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর পাশাপাশি রিজভির ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না বাংলাদেশিরাও।
স্ত্রীয়ের ভারতীয় শাড়ি থেকে শুরু করে রাজস্থানের বেডশিট পোড়ানো প্রসঙ্গে রিজভিকে নিশানায় এনে এক বাংলাদেশি নেটিজেন লেখেন, বউয়ের পুরনো শাড়ি পুড়িয়ে ফেলে বীরত্ব না দেখিয়ে রিজভি সাহেব আপনি আপনার হার্টে যে রিংটা বসিয়েছেন ওটা খুলে ফেলুন। একই সুরে বিএনপি নেতাকে নিয়ে তোপ দেগেছেন বাকিরাও।