পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির (Bengal Flood) ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। জল নামছে ধীরে ধীরে। কিন্তু বন্যায় বিপর্যস্ত অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, পাঁশকুড়া, হুগলির খানাকুল, বীরভূম প্রভৃতি এলাকার। ভেঙে গিয়েছে রাস্তাঘাট, স্কুল বাড়ি। কোথাও কোথাও এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পর বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করলেন তিনি। তারই পরেই দলের বিধায়ক ও সাংসদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, তাঁদের তহবিলের টাকায় ভাঙা রাস্তা এবং স্কুল মেরামত করে দিতে হবে৷
প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যে সব দফতর কাজ করছে তাদের সকলের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাঁর। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘আমি বিধায়কদের বলেছি, তাঁদের তহবিলের টাকা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাগুলো যতটা সম্ভব উন্নতি করার জন্য। সাংসদের নির্দেশ দিয়েছি ভাঙা স্কুল মেরামতের জন্য এক কোটি টাকা খরচ করতে। আর গ্রামীণ রাস্তার জন্য চার কোটি টাকা খরচ করার কথাও বলেছি।’’
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ডিভিসি জল ছেড়ে ‘ম্যান মেড’ বন্যা তৈরি করেছে। ঝাড়খণ্ডের জলে প্রতি বছর বাংলায় বন্যা হয়। জলশক্তি মন্ত্রক রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বাংলার আবাস যোজনার আওতায় সমীক্ষা করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যুক্ত করার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।