আর জি কর ইস্যুতে(RG Kar Case) কি তৃণমূলের পর এবার ক্ষোভ বাড়ছে সিপিএমের(CPM) অন্দরে? কিছুদিন ধরেই আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য – রাজনীতি। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। এমনকি এই ঘটনার পর শাসক দল তৃণমূলের মধ্যেও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সুখেন্দুশেখর রায় থেকে শান্তনু সেনরা প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। নারী নিরাপত্তা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন ওঠায় অস্বস্তি বেড়েছিল শাসক দলের। তবে শুধু তৃণমূল নয়, আর জি কর ইস্যুতে(RG Kar Case) এবার ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সিপিএমের অন্দরে। সিপিএমের(CPM) দলীয় সূত্রে খবর, আর জি কর ইস্যু নিয়ে আন্দোলনে যে সমস্ত নেতারা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের কারও নামে আছে দলেরই নেত্রীকে মারধরের অভিযোগ, কারও নামে রয়েছে যৌন নির্যাতনের নামে গুরুতর অভিযোগ। আর একারণেই দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যাদের নামে তারাই যদি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সেক্ষেত্রে আন্দোলনের যৌক্তিকতা থাকে কী?
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে এক মহিলা যৌন হেনস্তা সহ আরও বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছিলেন সিপিএম নেতৃত্বের কাছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থাও নিয়েছিল দল। এরইমধ্যে আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের মত স্পর্শকাতর ইস্যুতে দলের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হওয়ায় অস্বস্তিতে বাম নেতৃত্ব।
দলের একাংশের অভিযোগ, জেলা নেতৃত্বের মদতেই এমন ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়ে সিপিএমের কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘ আন্দোলনে যে কেউ আসতে পারেন। তবে নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ থাকলে আমরা দেখব।’
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম দিন থেকেই আন্দোলন শুরু করেছে সিপিএমের যুব এবং ছাত্র সংগঠন। তার মধ্যেই দলের অন্দরে ক্ষোভের বাতাবরণ সিপিএমকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় কিনা সেটাই দেখার।