By-election: লোকসভার পরে বিধানসভাতেও বাড়লো শক্তি,৪ টি কেন্দ্রই দখল করলো তৃণমূল

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

রাজীব ঘোষ : লোকসভা নির্বাচনে ২২ থেকে বেড়ে হয়েছিল ২৯ সবুজ ঝড় দেখা গিয়েছিল বাংলা জুড়ে। তার ঠিক মাসখানেকের মধ্যেই রাজ্যের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ফের একই চিত্র। লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই পশ্চিমবঙ্গের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন(By-election)ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জ। এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে মানিকতলা বাদে অন্য তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। এবার সেই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।

রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ এবং বাগদা বিজেপির দখলে থাকায় প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে উঠেছিল গেরুয়া শিবিরের। তৃণমূল লোকসভা নির্বাচনে ২৯ টি আসনে জয়ী হওয়ায় বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ে ময়দানে। ২০২১ শে জেতা আসন মানিকতলা তো রইলোই, তার সঙ্গে এবারে তৃণমূলের লড়াই ছিল রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণ দখলে নেওয়া। এবার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা গেল, ফের লোকসভা ভোটের মতোই বিধানসভাতেও শক্তি বাড়িয়ে নিল ঘাসফুল শিবির।

মানিকতলা কেন্দ্রে রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে ৬২ হাজার ৩১২ ভোটে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির কল্যান চৌবেকে হারিয়ে দিয়েছেন। এবার দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে রাজ্য বিধানসভায় প্রবেশ করতে চলেছেন বাগদা বিধানসভার মধুপর্না ঠাকুর। ২৫ বছর বয়সি মধুপর্না এবার বাগদা বিধানসভা আসনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে জিতেছেন।

আরও পড়ুনঃ গভীর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, হাসপাতালে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ৬,আহত ২

অন্যদিকে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা আসনটি ২০২১ সালে জিতেছিল বিজেপি। এবার সেই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করা প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৭ হাজার ৬ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির মনোজ কুমার বিশ্বাসকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। রায়গঞ্জেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী জয়ী হয়েছেন। ২০২১ সালের ভোটে তিনি বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগদান করে এবার উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করে আবার রাজ্য বিধানসভায় প্রবেশ করলেন। ফলে লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে শক্তি বাড়িয়েছিল তৃণমূল, ঠিক একইভাবে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে বাংলার বিধানসভাতেও ঘাসফুল শিবির নিজের শক্তি বাড়িয়ে নিল।